• ধর্ম-ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তাই সিপিএমে যোগ দিইনি: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • তিনি 'বাম মনস্ক' বলে দাবি করতেন অনেকেই। রবিবার যখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন তিনি অবসর নিতে চলেছেন, সেই সময় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি রাজনীতিতে যোগদানও বিষয়টিও একপ্রকার স্পষ্ট করে দেন। সেই সময় জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তিনি কি CPIM-এ যোগদান করতে চলেছেন?অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও অতীতে বলেছিলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার যোগ্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।’ সেক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক ডেস্টিনেশন যে কংগ্রেস হতে পারে, সেই জল্পনাও অনেকে উড়িয়ে দিচ্ছিল না। মঙ্গলবার তিনি ইস্তফাপত্র দেন। এদিনই শেষমেশ যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে বিজেপিতে যোগদানের কথা জানালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৭ তারিখ তিনি যোগদান করতে পারেন বলে জানান।

    কিন্তু, কেন বামেদের সঙ্গে গেলেন না তিনি? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই কারণ স্পষ্ট করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সিপিএম-এ যেতে পারতাম। কিন্তু, আমি ধর্মে বিশ্বাস করি, ওপরওয়ালায় বিশ্বাস করি, ধর্ম পালন করি। তারা সেগুলো করে না। হয়তো কেউ কেউ ভেতর ভেতর করে। বাইরে করে না। তাই দলে গিয়ে কী করব! কোন মিল হবে না!'

    কংগ্রেস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই দল বহুদিন ধরে একটি পরিবারের জমিদারি। সেই পরিবারের সমর্থক হয়ে কিছু নেতা যেমন জয়রাম রমেশ ঘুরে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা কোনও পদও পাবেন না। কাজও করতে পারবেন না। এছাড়াও ওই দলেরই নেতা অতুল্য ঘোষের একটি বই পড়েছি। সেই বইয়ে কংগ্রেস দলের চরিত্র লেখা ছিল।'

    'কুণালবাবুকে আমার ভালো লেগেছে' মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নারদাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওটা একটা চক্রান্ত। কোনও স্টিং অপারেশনই নই। একটা লোককে ব্যবহার করা হয়েছিল।’ বিচারপতি অবসর নিয়ে কি রাজনীতিতে আসতে পারেন না? প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনি নিজেই বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক।’

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় কি তাঁকে দেখা যাবে? এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি এখনও বিজেপিতে যোগদান করিনি। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’ তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোন আসন থেকে লড়বেন, আদৌ তিনি লড়বেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ৭ তারিখ এই গোটা বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হতে পারে।
  • Link to this news (এই সময়)