• Supreme Court : উদয়নিধির সনাতন ধর্ম নিয়ে সুপ্রিম-তোপ, খোঁচা নমোরও
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: সনাতন ধর্ম মুছে ফেলার পক্ষে সওয়াল করার জন্য তামিলনাড়ুর মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনকে কড়া ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের প্রশ্ন, এ ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর কী ভাবে উদয়নিধি শীর্ষ কোর্টের শরণাপন্ন হলেন? এই মন্তব্যের ফলাফল তাঁর বোঝা উচিত ছিল।উদয়নিধির এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, বিহার, জম্মু-কাশ্মীর এবং মহারাষ্ট্রে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাগুলোকে একত্রিত করার আর্জি নিয়েই শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি। তাঁর তরফে আইনজীবী অভিষেক সিঙ্ঘভি সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বলেন, 'আমি আমার মক্কেলের মন্তব্যকে সমর্থন করছি না, বা সেই মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছি না। আমি চাই আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরগুলো ক্লাব করা হোক।'

    এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী এবং বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরগুলো সম্মিলিত করার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন সিঙ্ঘভি। কিন্তু শীর্ষ কোর্ট এ ব্যাপারে উদয়নিধিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের বক্তব্য, 'আপনি সংবিধানের ১৯(১) ধারা (বাক্‌স্বাধীনতা), ২৫ ধারা (ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার)-এর অপব্যবহার করেছেন। আর এখন সংবিধানের ৩২ ধারায় (সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি আবেদন) অধিকার প্রয়োগ করতে এসেছেন? আপনি কী জানেন, আপনার মন্তব্যের ফলাফল কী হতে পারে? আপনি তো সাধারণ মানুষ নন, একজন মন্ত্রী। এই মন্তব্যের ফলাফল আপনার বোঝা উচিত ছিল।'

    বিতর্কের সূত্রপাত ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে। উদয়নিধি একটি সমাবেশে বলেছিলেন, সনাতন ধর্ম সামাজিক ন্যায় এবং সমানাধিকারের বিরোধী। আর তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সনাতন ধর্মও সমাজ থেকে মুছে ফেলা উচিত। এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি প্রচার শুরু করে, সনাতন ধর্মের গণনিধনের ডাক দিয়েছেন উদয়নিধি। মুখ্যমন্ত্রী-পুত্রের অবশ্য দাবি ছিল, তিনি ভুল কিছু বলেননি। এই মন্তব্যের জন্য যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত।

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে উদয়নিধির এই ভর্ৎসনার পর এদিন চেন্নাইয়ের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে শোনা যায়, 'আজ আমরা দেখেছি, দেশের শীর্ষ কোর্ট ডিএমকে পরিবারের এক সদস্যকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসকে অপমান করাই এই পরিবারবাদীদের বৈশিষ্ট্য। যাঁরা জনতার আবেগের পরোয়া করেন না, তাঁরাই তামিলনাড়ু প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে বসে আছেন।'
  • Link to this news (এই সময়)