• 'শিল্পের হাওয়া এখন বাংলায়', মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে মন্তব্য মমতার
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • বাংলায় বিনিয়োগ টানতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। আর এবার 'বাংলায় শিল্পের হাওয়া চলছে' বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণে বিরোধীরা ভয় পাচ্ছে বলেই দাবি করেন মমতা।পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'চাকরির অভাব হবে না, তার কারণ সারা মেদিনাপুরজুড়ে চলছে শিল্পের হাওয়া। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম থেকে শুরু করে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সব জায়গাতেই হাওয়া চলছে, শিল্পের হাওয়া, শিল্প এখন কোথায় হচ্ছে? বাংলায় হচ্ছে। তাই বাংলাকে ওরা ভয় পাচ্ছে।'

    প্রসঙ্গত, বাংলায় বিনিয়োগ টানতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় রাজ্য সরকারকে। যার মধ্যে অন্যতম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বছর বছর এই সম্মেলনে দেশবিদেশের বড়বড় শিল্পপতিদের আমন্ত্রণও জানান হয়। কতজন শিল্পপতি বিনিয়োগে উদ্যোগী, বা কত টাকার বিনিয়োগের মউ স্বাক্ষর হয়েছে সেই সমস্ত তথ্যও দেওয়া হয়। যদিও বিরোধীরা অবশ্য লাগাতার শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকারে আক্রমণ করে চলেছে। বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যে কোনও শিল্প নেই বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যেহেতু সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই এবারের প্রচারেও কর্মসংস্থান একটা বড় হাতিয়ার হতে পারে বিরোধী শিবিরের। আর শুধু তাই নয়, চাকরি নিয়েও রাজ্যকে রাজ্য তথা শাসকদল তৃণমূলকে খোঁচা দিতে পারে বিরোধী পক্ষ। সেই দিক থেকে শিল্প ও চাকরি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।

    অন্যদিকে এদিন খড়গপুরের কিছু ওয়ার্ড নিয়ে বড়সড় অভিযোগ তুলতেও দেখা যায় মমতাকে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'খড়গপুরে একটা জায়গা আছে, ভোটের আগে ওখানে ৮টা ওয়ার্ড, যেখানে জল কেটে দেওয়া হয়, বিদ্যুৎ কেটে দেওয়া হয়, ধমকানি দেওয়া হয়, বলা হয় বিজেপিকে ভোট না দিলে এলাকা থেকে সরিয়ে দেব। আমি এবার চ্যালেঞ্জ করে গেলাম, একটা বাড়ির জল কাটলে, একটা বাড়ির বিদ্যুৎ কাটলে, একটা উচ্ছেদ করলে, মনে রাখবেন আমরা কেউ ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না, আমরা ঘাসটাকে রক্ষা করি। আমি খড়গপুরকে বলব, যারা এই কীর্তি করে তাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করুন, এবং প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে।'
  • Link to this news (এই সময়)