• নির্বাচনে কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত নয়, অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে চায় কমিশন ...
    আজকাল | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনে কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত নয়, অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে চায় কমিশন। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে তেমনটাই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের আগে রাজ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দফায় দফায় রাজনৈতিক দলগুলি এবং পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সোমবারের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলি নিজের দাবি, আর্জি জানিয়েছিল কমিশনের কাছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আলোচনা, এবং কমিশনের ভাবনা সংক্রান্ত একগুচ্ছ পয়েন্ট তুলে ধরেন। তিনি জানান, . রাজনৈতিক দলগুলি বৈঠকে বারবার দাবি জানিয়েছে, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, ভয়হীন ভোট চায় তারা।. নির্বাচন করতে হবে ভয়মুক্ত এবং হিংসা মুক্ত।. কমিশনের বদলির নিয়ম নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠছে, কমিশনের নিয়ম মান্যতা পাক।. একটি রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে, তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, কেউ রেয়াত পাচ্ছে না। কমিশন সেদিকে নজর দেবে। . ভোট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ের হিংসাকে দমনের আর্জি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।. সীমান্তে কড়া নজরদারির আর্জি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।. রাজনৈতিক দলগুলি জানিয়েছে, বাংলায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। রাজনৈতিক দলের তরফে অভিযোগ, একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্বাচন প্রভাবিত করতে চায়। কোথাও কোথাও বোমা বাজি, প্ররোচনা এবং শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে, সেগুলি থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে।. নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে, রাজনৈতিক দলগুলি আর্জি জানিয়েছে, যত বেশি সংখ্যক জায়গায় সম্ভব, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। র‍্যালি নিয়ে নিয়ম মানা হোক। . যত বেশি সংখ্যা সম্ভব পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হোক, তাঁদের যোগাযোগ নম্বর সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হোক।. রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মী, সিভিক পুলিশ, গ্রিণ পুলিশদের নির্বাচনে কাজে না লাগানোর দাবি জানানো হয়েছে।. বুথ থেকে কোনও এজেন্টকে যেন না সরানো হয়। . এক দফায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দল, আধার কার্ড বাতিল হলেও ভোটে যাতে তার প্রভাব না পড়ে সেই আর্জি জানানো হয়েছে। . ইভিএম মেশিনে নজর দেওয়া হোক। . নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়েছে, নির্বাচনে কোনও প্রকার অশান্তি, হিংসার জায়গা নেই।. কমিশন সুনিশ্চিত করছে, যাতে সকল ভোটার উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে পারেন।. বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার অধঃস্তনদের কাজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। তাঁরা একাজ না করলে কমিশন করিয়ে নেবে। . এই নির্বাচনে থাকছে সিটিজেন্স ভিজিলেন্স। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, ভোটার অভিযোগ লিখে বা ছবি তুলে পাঠিয়ে দিলে সঠিক লোকেশন খুঁজে নেবে কমিশনই।. বাংলায় ভোট দেবেন ৭.৫৮ কোটি মানুষ. ৩.৮৫কোটি পুরুষ এবং ৩. ৭৩ কোটি মহিলা ভোটার ভোট দেবেন। ১৫.২৫ লক্ষ ভোটার ভোট দেবেন প্রথমবার।. শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সম্পন্ন এবং বয়স্ক ভোটারদের বাড়ি থেকে ভোট দেওয়ার সুবিধা থাকব।. ৮০৪৫৩ বুথে ভোট গ্রহণ। গড় ভোটার ৯ হাজারের কিছু বেশি।. অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং-এর মাধ্যমে নজরদারি।. বেশকিছু বুথ হবে মহিলা দ্বারা পরিচালিত। সেখান মহিলা পুলিশ ফোর্সের ব্যবস্থা করার চেষ্টা। . ভোটারদের কথা মাথায় রেখে বুথ হবে একতলায়, বুথে একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধার সঙ্গেই থাকবে হুইল চেয়ার, তাপের কথা মাথায় রেখে থাকবে শেড। . নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে একগুচ্ছ প্রযুক্তি। . একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে পোর্টাল. বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থী সম্পর্কে জানাবে রাজনৈতিক দলগুলি।. টাকার ভ্যান যেন বিকেল ৫টার পর রাস্তায় না বেরোয়, নির্দেশিকা ব্যাঙ্কগুলিকে। . কেন্দ্রীয় বাহিনী, কোথায় কত? সিদ্ধান্ত হবে আলোচনা করে।.আধার কার্ড না থাকলে, আরও একাধিক নথি রয়েছে, তার মাধ্যমেই ভোট দিতে পারবেন। .রাজনৈতিক দলের অভিযোগের লিখিত জবাব দেওয়া হবে। . ভুয়ো খবর রুখতে সিদ্ধান্ত।
  • Link to this news (আজকাল)