• স্ত্রীর শ্লীলতাহানি সহ্য করতে পারেননি, ২ সন্তান-সহ গলায় দড়ি দিলেন স্বামী
    আজ তক | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এক বাবা তার ১২ বছরের মেয়ে ও ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনজনেরই মরদেহ একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
    ঘটনাটি ঘটেছে শামগড় থানা এলাকার রুন্ডি গ্রামে যেখানে বানজারা সম্প্রদায়ের এক যুবক তাঁর ছেলে ও মেয়ে-সহ আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন ওই যুবক।

    সুইসাইড নোটে লেখা অভিযুক্তদের নাম
    মৃত ব্যক্তি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, তিন মাস আগে তার স্ত্রী নৈনী বানজারাকে একই গ্রামের রাজু, কালু, সোনু, গীতাবাই, নজিবাই, লীলাবাই, গোবিন্দ মারধর করে। তিনি তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের মৃত্যুর জন্য এই সমস্ত লোকদের দায়ী করেছেন। নিহত ব্যক্তি তার সুইসাইড নোটে পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।

    সূত্রের খবর, একই গ্রামের এক পরিবারের নারী-পুরুষের দ্বারা স্ত্রীকে মারধর ও উত্যক্ত করায় নিহত ব্যক্তি আহত হন। তিন মাস পর সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে গত রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতে পৌঁছেছেন তিনি। বাড়িতে পৌঁছে তিনি বাচ্চাদের শামগড়ে নিয়ে যান এবং কেনাকাটা করেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে পাশের গ্রামের একটি গাছে তিনজনেরই ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

    তিনজনের লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা এসে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে সেখানে ভাঙচুর চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার বাকবিতণ্ডাও হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে লোকজন তাদের বোঝানোর মাধ্যমে শান্ত হয়েছিল এবং তিনটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    পুলিশ এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তের অবৈধ বাড়ির তদন্ত শুরু করেছে। শীঘ্রই প্রশাসনিক দল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে এ মামলার আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে মান্দসৌরের এসপি অনুরাগ সুজানিয়া বলেছেন যে, তথ্য পাওয়া গেছে যে তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছে, মৃতদেহ সরিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

     
  • Link to this news (আজ তক)