প্রদ্যুত দাস: অযোধ্যায় রামলালার মন্দির ও রামজন্মভূমি দর্শন এবং ভ্রমণের জন্য চলল আস্থা স্পেশ্যাল ট্রেন। এই আস্থা স্পেশ্যাল ট্রেনেই অযোধ্যা রওনা দিলেন ধুপগুড়ি ব্লকের ২৪৬ জন পুণ্যার্থী। সামান্য খরচে এই যাত্রা বলে জানা যায়।
গতকাল, সোমবার রাতে এই ট্রেন গৌহাটি থেকে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি এসে পৌঁছয়। বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে রামমন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া পুণ্যার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কপালে তিলক পরিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে তাঁদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেই সঙ্গে ওই আস্থা স্পেশ্যাল ট্রেনের লোকো পাইলটদেরও শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল, মিষ্টি এবং শ্রীরামের ছবি।আগেই জানা গিয়েছিল যে, এই ট্রেনটি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) হয়ে মালদা হয়ে সন্ধের দিকে অযোধ্যায় পৌঁছবে। এই ট্রেনে যেতে মাথাপিছু খরচ ১৭০০ টাকা। যার মধ্যে যাতায়াত বাবদ ১০০০ টাকা এবং খাওয়া-দাওয়া বাবদ ৭০০ টাকা করে নেওয়া হয়। মন্দির দর্শন করে পুজো দিয়ে ফের অযোধ্যা থেকে রওনা দিয়ে পরদিন জলপাইগুড়ি আসবে এই বিশেষ ট্রেনটি।এরকম একটি ট্রেন যে আসতে চলেছে, সেকথা জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। যথারীতি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। তাঁর কাছে সেদিন অযোধ্যা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, সারা দেশের মানুষ যেতে চাইছে। কোটি কোটি মানুষ। তবে অযোধ্যা ছোট্ট শহর। সবাই একসঙ্গে গেলে ব্যবস্থা করা অসম্ভব হবে। দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই বিভিন্ন রাজ্যকে আলাদা আলাদা সময় দেওয়া হয়েছে। সেটা ২২ জানুয়ারির পরে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আস্থা স্পেশাল ট্রেন চলবে। সেদিন ২৯ জানুয়ারি হাওড়া থেকে প্রথম আস্থা স্পেশাল ট্রেন ছা়ড়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। এরকম ৫ টা স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। দিলীপ ঘোষ যোগ করেছিলেন, ট্রেনে ওঠা থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত দায়িত্ব কেন্দ্রই নেবে। ওখানেও (অযোধ্যায়) স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। বাংলা ভাষায় তাঁরা কথা বলবেন। সাহায্য করবেন। গোটা দেশকে আলাদা ৪ টি জোনে ভাগ করে আলাদা রঙের আই কার্ডও দেওয়া হবে এজন্য।