সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই! হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
২৪ ঘন্টা | ০৫ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য। এদিন সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে শেখ শাহজাহানকেও সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় সিট খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট ৩টি মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। শেখ শাহজাহান এবং মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। তাদের উপর চড়াও হন শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধরের চোটে ইডি অফিসারের মাথাও ফাটে। সেই ঘটনার ৫৬ দিনের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিস।গ্রেফতারির পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। কিন্তু শেখ শাহজাহানের কোনও আবেদন-ই শোনেনি কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দোপাধ্যায় হাজির হতেই, প্রধান বিচারপতি কড়া ভাষায় তাঁকে বলেন, "আপনার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪৩টা মামলা আছে। এই মক্কেলের অনেক কাজ করতে ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪-৫ জন জুনিয়র রাখতে হবে। এই ব্যক্তির জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।" এরপরই এদিন শেখ ও সন্দেশখালি মামলায় কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।প্রসঙ্গত, রিমান্ড লেটারে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে পুলিসও। রিমান্ড লেটারে পুলিস দাবি করে, ইডি অফিসারদের উপর হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শেখ শাহজাহান। একইসঙ্গে তাঁকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে পুলিসও। শেখ শাহজাহানের জামিনের বিরোধিতা করে ও তাঁকে হেফাজতে পেতে রিমান্ড লেটারে পুলিস উল্লেখ করে, তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। জামিন পেলে গা ঢাক দিতে পারেন। প্রভাব খাটাতে পারেন। এমনকি সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। আরও উল্লেখ, ইডি অফিসারদের আটকানোর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান। শুধু কর্তব্যরত ইডি অফিসারদের আটকানো নয়, মানি-মাসল ও ম্যানপাওয়ার ব্যবহার করে ইডি অফিসারদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করে। তাদের জিনিস লুঠ করে।