ডায়মন্ড হারবারে দুর্বৃত্ত দল আছে, দাঁড় করালে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাব: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
২৪ ঘন্টা | ০৫ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবারই চাকরিতে ইস্তফা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিতর্কিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন তাঁর বিজেপিতে যোগদানের কথা। পাশাপাশি তিনি নিশ্চিত করে দেন যে লোকসভা ভোটেও লড়বেন তিনি।যদিও কোন কেন্দ্র থেকে তিনি ভোট ময়দানে নামবেন তা ছেড়ে দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বকবত্য থেকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা যে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
যদিও কিছুদিন আগে যখন তিনি নিজের ইস্তফার কথা জানান সেই সময় থেকেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল যে মেদিনীপুরের তমলুক আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করবে বিজেপি।তাঁর রাজনীতিতে আসার যুক্তি হিসেবে তিনি জানান, যে কোনও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সৎ মানুষের রাজনীতি করা উচিত। বিজেপি-তে যোগ দিলাম কারণ ভারতীয় জনতা পার্টিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল। তিনি জানিয়েছেন সম্ভবত ৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেবেন। এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। যদিও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে তাঁর গলায় ছিল শ্রদ্ধার সুর।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। আভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের দুর্বৃত্ত দল আছে। দাঁড় করালে লক্ষ লক্ষ ভোট হারাব’। পাশাপাশি আরও চোখা চোখা বক্তব্যে নিজের আক্রমণ শাণিয়ে তুলে তিনি বলেন, ‘তাল পাতার সেপাহির নাম মানেই স্ল্যাং’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর গলায় শ্রদ্ধার সুর শোনা গেলেও তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মমতা প্রকৃত রাজনীতিবিদ। তবে তৃণমূলকে দল বলে মনে করি না। যাত্রা পার্টি। দুর্নীতিগ্রস্থ দল। কিছু ভাল লোক আছে। বেরোতে পারছেন না। কাল একজনের সঙ্গে কথা হয়ছে’।প্রাক্তন বিচারপতির বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন বাম নেতা এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে পেশাগত ঘনিষ্ঠতা। আমি দুঃখিত হব এই কারণেই যে ওঁর যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিশন সেটা বিজেপি তে গিয়ে পূরণ করা যাবেনা। ও ধাক্কা খাবে, আহত হবে বলে আমার আশঙ্কা। দেশ জুড়ে দুর্নীতিকে লালন করছেই বিজেপি’।তিনি আরও বলেন, ‘আমি খানিকটা অবাক হয়েছি। বিজেপির সঙ্গে ওর সক্ষতা হবার কোনও সুযোগ ছিল বলে আমার ধারণা ছিলনা। ও ওর ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তবে আবারও বলি এটা না এটা না করলেই ভাল হত। আমি একটা বার্তা দিয়েছিলাম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে নির্দল হিসাবে করলে অনেক বেশি সমর্থন পাবে, আমরাও সমর্থন করবো। হ্যাঁ একই রকমের যোগাযোগ থাকবে। সৌজন্যমূলক সম্পর্ক কেন থাকবেনা’।