গত বছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের যুব মুখ হিসেবে উঠে এসেছিল রাজন্যা হালদারের নাম। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এই তরুণ তুর্কি রাজনৈতিক মহলে ধীরে ধীরে নিজের নাম এবং জায়গা তৈরি করেছে। এবার লোকসভা ভোটের মুখে জল্পনা ছড়িয়েছিল, রাজন্যা নাকি যোগদান করতে চলেছেন BJP-তে। এবার এই যাবতীয় জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন রাজন্যা। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর কাছে বিজেপির তরফে যোগদানের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু, তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।ঠিক কী বলেছেন রাজন্যা হালদার?
তিনি যাবতীয় জল্পনার মধ্যেই বলেন, ‘আগামী ১০ মার্চ জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার সঙ্গে বিজেপির তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু, আমার স্পষ্ট উত্তর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে কখনই অন্য দলে যোগদান করব না।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির তরফে MP টিকিটের প্রলোভন দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে যদি দল ছাড়ি এবং বিজেপিতে যোগদান করতে চাই তাহলে করতে পারি। যে দুর্নীতির কথা বলছে বারবার তা বিজেপিই তৈরি করেছে। আমার উত্তর না ছিল, আছে, থাকবে। রাজ্যের তরফে যোগাযোগ করেছিল। চার পাঁচদিন আগে যোগাযোগ করে। ফোনে যোগাযোগ করা হয়।’
রাজন্যার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কিছু জানা নেই। তাই কোনও মন্তব্য করব না।’ একই কথা শোনা যায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কণ্ঠেও। আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই সভা থেকে উল্লেখযোগ্য বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা কী বার্তা দেন, এখন সব নজর সেই দিকেই।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজন্যার এই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই গোটা বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সম্ভবত, আগামী ৭ তারিখ তাঁর বিজেপিতে যোগদান।
তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও তিনি কোন আসন থেকে লড়বেন, সেই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।