এই সময়: সংসারে অশান্তির জেরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় স্বামী শম্ভু চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছিল হরিদেবপুর থানা। সেই মামলায় আলিপুর আদালত শম্ভুকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিল। অন্যদিকে মধুচক্রের মামলায় অভিযুক্ত ছ’জনকে দশ বছরের জন্য হাজতে পাঠাল ব্যারাকপুর আদালত। দক্ষিণেশ্বরের কাছে একটি হোটেলে দেহব্যবসায় নামানো হয়েছিল নাবালিকা-সহ বেশ কয়েকজন তরুণীকে। তাদের উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। সোমবার বিচারক রায় দেওয়ার সময়ে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেন।আদালত সূত্রের খবর, হরিদেবপুরে নবপল্লি এলাকায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ওই দিন ফের তাঁদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। হঠাৎ শম্ভু তাঁর স্ত্রী অঞ্জনার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাঁর মৃত্যুও হয়। সোমবার ওই মামলায় আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেন। সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, এই মামলায় ১৪জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিশ্বরের মধুচক্রের ঘটনানায় বেলঘড়িয়া থানা অভিযুক্ত ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। পকসো ধারাতেও মামলা রুজু হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই এলাকার একটি হোটেলে মধুচক্রের কারবার চলছিল। ওই হোটেলে নাবালিকা সহ তরুণীদের আনা হতো বলে অভিযোগ। অনেক সময়ে দেহব্যবসা করতে তাদের বাধ্য করা হতো। সেই হোটেলে হানা দিয়ে গোয়েন্দারা চার জন নাবালিকা এবং ১১ জন তরুণীকে উদ্ধার করেন। পরে এই মামলায় ২০১৮ সালে ব্যারাকপুর আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। অভিযুক্তদের কাস্টডি ট্রায়াল চলছিল এত দিন। এ দিন সিআইডি জানিয়েছে, ওই মামলায় অভিযুক্ত ৬ জনের ১০ বছরের সাজা ঘোষণার পাশাপাশি নাবালিকা এবং তরুণীদের ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন বিচারক।