‘নারদা কাণ্ড চক্রান্ত, কোনও স্টিং অপারেশন নয়, মন্তব্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগদান করছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজেই সেটা জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি দলকেই তাঁর রাজনৈতিক অভিষেক ঘটানোর মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, নারদা কাণ্ডে যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (তৎকালীন তৃণমূল নেতা) শুভেন্দু অধিকারী যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে, তাঁকে দলীয় সতীর্থ করছেন কী করে তিনি?অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রথমত বলতে চাই, নারদা কাণ্ড একটি চক্রান্ত। একজন অ্যালকেমিস্ট বলে একটি কোম্পানিকে কাজে লাগিয়ে এই পুরো কাণ্ড করেছিল। এটা একটা চক্রান্ত।’ আদৌ, এই কাণ্ডটি কোনও যথার্থতা আছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘এটা কোনও স্ট্রিং অপারেশন নয়। এটা ওই ভদ্রলোককে ব্যবহার করে করা হয়েছিল।’
নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, সেই নেতা রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চেয়েছেন বলে দলের বড় বড় নেতাদের ‘বদনাম’ রটিয়ে দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে। তবে তৃণমূলে কোনও নেতা এটা কেন করতে যাবেন? তাঁর উত্তর, ‘তৃণমূলের নেতাদের বদনাম করার জন্যে এটা করা হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে এর সম্পর্ক অনেকটা দূরে।’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কে এই চক্রান্ত করেছেন? কী ভাবে সেটা কর হয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Justice Abhijit Gangopadhyay : বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা! কোন বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, ‘আপনি তো পরম সিবিআই ভক্ত। কথায় কথায় সিবিআই নির্দেশ দিচ্ছেন। নারদা কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী সিবিআইয়ের চার্জশিট নাম রয়েছে। তাহলে, আপনি যে দলে যোগ দিচ্ছেন, সেই দল এই ভিডিয়ো ফুটেজ বার করে তদন্ত চেয়েছিল। তদন্তের আগে আপনি ক্লিনচিট দিচ্ছেন কী করে?’
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় হয়েছিল নারদা কাণ্ড নিয়ে। যদিও, নারদা স্টিং অপারেশনের ফুটেজ ঘিরে বিতর্ক হওয়া সত্বেও সেইবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভিডিয়ো ফুটেজের ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। পরবর্তী কালে এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলতে থাকে। তৃণমূলের একাধিক হ্যাভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে এই মামলায় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। একাধিক নেতা আদালতে গিয়ে অন্তর্বর্তী জামিন নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নারদ-কাণ্ডে রাজ্যের ১৩ জন প্রভাবশালী মন্ত্রী, নেতা, পুলিশকর্তার নামে সরাসরি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের একটি স্ট্রিং অপারেশনের পরেই এই ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছিল। যদি সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার উঠে এল নারদা কেলেঙ্কারির বিষয়টি।