Mohamed Muizzu : '১০ মে-এর মধ্যে মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করুন!' ভারতকে ডেডলাইন মুইজ্জুর
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
চিনের সঙ্গে সামরিক চুক্তির পরেই ভারত বিরোধী গর্জন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। ১০ মে-র পর কোনও ভারতীয় সেনাকে মলদ্বীপে থাকতে দেওয়া হবে না বলে দিয়েছেন হুঁশিয়ারি। এমনকি অসামরিক পোশাকেও থাকা চলবে না বলে দিয়েছেন বার্তা। মুইজ্জুর হুঁশিয়ারির পর নতুন করে ভারত-মলদ্বীপ কূটনীতিক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে বলে করা হয়েছে আশঙ্কা।কী বলেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট?
গত জানুয়ারি মাসে চিন সফরের পরেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। চিনের সঙ্গে সামরিক চুক্তির পর বা আতোল ইধাফুসি নামে এক জায়গায় আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেই জনসভা থেকে দিল্লিকে নিশানা করেছেন তিনি।
মুইজ্জু জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরেই ভারতীয় সেনারা মলদ্বীপ থেকে যাচ্ছে না। উর্দি ছেড়ে অসামরিক পোশাকে আসছে তারা। কিন্তু ১০ মে-র পর উর্দি কিংবা অসমারিক পোশাকে এ দেশে থাকা যাবেনা বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এখানেই থেমে থাকেননি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেছেন, দেশের আভ্যন্তরীণ স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। আর এই লক্ষ্যে তাঁর প্রধান কাজ হচ্ছে, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি। সেই সঙ্গে দক্ষিণ সামুদ্রিক অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য যথাযথ গুরুত্ব দেবেন বলেও দিয়েছেন আশ্বাস। আর এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই সাফল্য অর্জন করা যাবে বলেও আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট।
চিনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি মলদ্বীপের
সামরিক ক্ষেত্রে নিঃশর্তে মলদ্বীপকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে চিন। সোমবার এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে, চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনও কিছু জানানো হয়নি। সামরিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার উপর চুক্তিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে সামরিক ক্ষেত্রে মলদ্বীপের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি। ৪ মার্চ নতুন সামরিক চুক্তির পর, চিনকে মুইজ্জু সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, গত বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পরেই মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মুইজ্জু।
গত জানুয়ারি মাসে প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ১০ মার্চ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এরপর দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পর সেনা প্রত্যাহার নিয়ে পদক্ষেপে রাজি হয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। ১০ মার্চের মধ্যে তিনটি ক্ষেত্র থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।