Election Commission Of India : ছাপ্পা-রিগিং রুখতে কমিশনের সবাধানবাণী! DM-SP-দের জন্য কড়া নির্দেশিকা কমিশনের
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
বেজে গেল ভোটের বাদ্যি। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে দেশের সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের শান্তিতে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হল একগুচ্ছ নির্দেশিকা। ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে নির্দেশ।
নিরাপত্তা নিয়ে কী নির্দেশিকা?
নির্বাচন কমিশন দেশের সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে জারি করা নির্দেশিকায় বলেছে যে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।গণতন্ত্রে যে কোনও হিংসার ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।ভোটার এবং প্রাথীদের কোনও ধরনের ভয় দেখানো কিংবা হুমকির ঘটনা যাতে না ঘটে। ভোটারদের যাতে প্রলোভন কিংবা প্রভাবিত না করা হয়, সেদিকে রাখতে হবে নজর।ভোট উপলক্ষ্যে প্রশাসনের নিচু তলার অফিসারদের নিরপেক্ষতা যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারে দিতে হবে জোর।নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার, গ্রিন পুলিশকে দূরে রাখতে হবে।কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বাহিনী মোতায়েন করার আগে ও পরে প্রতি সপ্তাহে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে করতে হবে বৈঠক। এই বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সামিল করার জন্যও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনের নির্দেশিকা
নির্বাচনের দিনগুলিকে সু্ষ্ঠুভাবে ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। উৎসবের আবহে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেটাই কমিশনের একমাত্র লক্ষ্য বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-ভোটগ্রহণের সময় পর্যবেক্ষকদের অবশ্যই বুথ পরিদর্শন করতে হবে। ভোটগ্রহণে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কীনা, তা সংশ্লিষ্ট বুথের পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে জানা বাধ্যতামূলক। ভোটগ্রহণে কোনও সমস্যা তৈরি হলে, তা সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে সমাধান। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনের অফিসে।সমস্ত ভোটারদের কাছে ভোটার স্লিপ পৌঁচেছে কীনা, তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যাতে ভোটার স্লিপ থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে রাখতে হবে নজর।ভোটগ্রহণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা যাতে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন, সেদিকে রাখতে হবে নজর।বেআইনি ভাবে কেউ ভোট দিলে কিংবা ছাপ্পা ভোটের মতো ঘটনা ঘটলে, সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।নির্বাচন বা ভোটগ্রহণ নিয়ে যে কোনও অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ।ভোটগ্রহণের পর ইভিএমগুলি সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। স্ট্রংরুমে করতে হবে ২৪ ঘণ্টা ত্রি-স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নজরদারির জন্য বসাতে হবে সিসিটিভি।
এছাড়া, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভুয়ো খবর ছড়ানোর একটি প্রবণতা রয়েছে। এ ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্য জেলাভিত্তিক গঠন করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেল। ভুয়ো খবর ছড়ালেও, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে নিতে হবে উদ্যোগ।