• Amitabh Bachchan : 'ওয়েল সেইড স্যর', জয়শংকরের প্রশংসায় বিগ বি
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • মলদ্বীপের নাম না করে ‘বিগ বুলি’ নিয়ে গত ২ মার্চ কড়া জবাব দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে পোস্ট। জয়শংকরের মন্তব্যের প্রশংসা করলেন শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন তিনি।কী জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন

    ‘বিগ বুলি’ নিয়ে জয়শংকরের মন্তব্যের ভিডিয়োটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ পোস্ট করেছেন অমিতাভ বচ্চন। তাতে একটি ক্যাপশনও দিয়েছেন তিনি। জয়শংকরকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ভালো বলেছেন স্যর।

    প্রকৃত ঘটনাটি কী?

    গত জানুয়ারি মাসে লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি পোস্টকে ঘিরে ভারত-মলদ্বীপের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্কে অবনতি ঘটে। সেই সময় নাম না করে দিল্লিকে নিশানা করেছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। মলদ্বীপ ছোট দেশ বলে অন্য কোনও দেশকে ‘বুলি’ বা হেনস্থার অধিকার দেয়না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

    গত শনিবার দিল্লিতে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় মুইজ্জুর ‘বুলি’ বা হেনস্থা মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রীকে।

    কী জবাব দিয়েছেন জয়শংকর?

    সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জয়শংকর জানিয়েছিলেন, গত ১০ বছর ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্ননিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। এই চেষ্টাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে মনে করছেন তিনি। এরপরেই নাম না করে মলদ্বীপ সরকারকে নিশানা করেছিলেন।

    বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেকেই ভারতকে ‘বিগ বুলি’ দেশ হিসেবে মনে করছেন। তাঁর মতে, সত্যিই যদি ভারত ‘বিগ বুলি’ হতো, তবে প্রতিবেশী দেশের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত না। সাহায্য করত না ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোভিডের সময় যে পরিমাণে ভ্যাকসিন ভারত প্রতিবেশী দেশগুলিতে সরবরাহ করেছে, তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি

    চিনাপন্থী হিসেবে পরিচিত মহম্মদ মুইজ্জু গত বছর মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপরেই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দিল্লির সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক অবনতি হতে থাকে। গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর পর্যটন প্রসারে একটি পোস্টকে ঘিরে বিরোধ তৈরি হয়।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মুইজ্জু মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রী। এর রেশ পড়ে কূটনীতিক সম্পর্কে। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে ১০ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনা মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেওয়ার পর।
  • Link to this news (এই সময়)