দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে 'দ্য ইন্দ্রাণী মুখার্জি স্টোরি: বেরিড ট্রুথ'। তিনি কি সত্যিই মেয়ে শিনা বোরাকে খুন করেছিলেন? এই রহস্যের জবাব লুকিয়ে রয়েছে সিরিজের এপিসোডগুলিতে। মামলার মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে এই সিরিজে। জীবনের একাধিক লুকিয়ে থাকা রহস্য ফাঁস করেছেন তিনি। একইসঙ্গে শোনা গিয়েছে আক্ষেপও।ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমিই বোধহয় একমাত্র অভিযুক্ত যে প্রকাশ্যে এসে নিজের কথা জানাচ্ছি। বই লিখেছি। এখন এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমেও সকলকে একটাই কথা বলতে চাইছি, আমি নির্দোষ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আইনের চোখেও তা প্রমাণিত হবে। আমার যা যা বলার সবটা আদালতে জানিয়েছি।' ইন্দ্রাণীর সংযোজন, 'শিনা আমার প্রথম সন্তান। সব মায়ের কাছে প্রথম সন্তান খুব স্পেশ্যাল হয়। কোনও মা তাঁর প্রথম সন্তানের সঙ্গে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটাতে পারে?'
২০১২ সালে ঠিক কী হয়েছিল?ইন্দ্রাণীর বক্তব্য, '২০১২ সালের এপ্রিল মাসের পর আমি শিনাকে আর দেখিনি। সে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। কল রেকর্ড থেকে পুলিশ জানতে পারে তার সঙ্গে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল।' শিনা বেঁচে আছে এ কথা তিনি কখনও বলেননি বলেই জানান মা ইন্দ্রাণী। তাঁর কথায়, 'আমি কখনও বলিনি শিনা জীবিত। এমন দাবি আমার নয়। তবে অনেকে তাঁকে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন।'
কী নিয়ে আক্ষেপ ইন্দ্রাণীর?সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বলেন, '২০১২ সালে যে লাশ পাওয়া গিয়েছিল তার কোনও DNA রিপোর্ট নেই। এরপর ২০১৫ সালে আরও একটি লাশ পাওয়া যায়। সেটির DNA টেস্ট রিপোর্টের সঙ্গে আমার রক্ত পরীক্ষার নমুনার মিল পাওয়া যায়। ২০০১ সালে আমার পিটারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়। ২০০২ সালে আমাদের বিয়ে হয়। পিটার জানত শিনা আমার সন্তান। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ পিটারকে বিয়ে করা। বিয়েটা না হলে আমার জীবনটা অন্যরকম হতে পারত।'
তাঁর জীবনে বেশকিছু অনুশোচনা রয়েছে বলে বারবার উল্লেখ করেছেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি এতদিনে বুঝেছি কারা আমার বন্ধু আর কারা নয়। এই লড়াইটা আমার, আমি এটা লড়বই।' CBI আপত্তি করায় বেশ কিছুদিনের জন্য মুক্তি পিছিয়ে গিয়েছিল নেটফ্লিক্সের এই তথ্যচিত্রটির। অবশেষে এটি মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিন থেকেই হিট ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গল্প।