'...তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হবে!' পদ্ম শিবিরে অভিজিৎ, তোপ অধীরের
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে নামা উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীই আজ জানালেন, উনি ‘জাস্টিস জোকার’এ পরিণত। কারণটা সহজ! কংগ্রেসের বিরোধী শিবির বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি।মঙ্গলবার ইস্তফা দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্ট থেকেই সটান নিজের বাসভবনে গিয়ে প্রথমেই জানিয়ে দেন, তিনি কয়েকদিনের মধ্যে বিজেপি দলে যোগ দিচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়াটা কিছুটা সময়ের অপেক্ষা। তবে, যেহেতু বিজেপিতে তিনি নাম লেখাচ্ছেন, সেই কারণে শাসক দল বাদ দিয়ে তাঁর নিশানায় ছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস।
কংগ্রেসে তিনি কেন যোগদান করলেন না? সেই বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই দলটি এখনও পর্যন্ত পরিবারতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলে। সেই কারণেই, তাঁর তালিকায় ছিল না কংগ্রেস। বস্তুত, দুদিন আগেই তিনি যখন রাজনীতিতে যোগ দেন, তখন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের আসার জন্য আবেদন জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
Abhijit Gangopadhyay News : কংগ্রেসকে কটাক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
তবে কংগ্রেস বিরোধিতা করতেই এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কড়া জবাব দেন অধীর। অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যে উনি বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাল। তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হবে। জাস্টিস গাঙ্গুলি থেকে জাস্টিস জোকারে পরিণত হয়েছেন।’'
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে এখনও যোগদান করেননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তবে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কয়েকদিন আগেই যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অধীর বলেন, ‘এখন উনি শেখানো কথা বলছেন। তাই কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। এরপর চন্ডীপাঠ করবেন, মোদী ভজনা করবেন। দিল্লি তাবড় বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধনের অবস্থা দেখেছেন? লালকৃষ্ণ আদবানি ও যোশীর অবস্থা দেখেছেন। কয়েক মাস পরেই উনি বুঝতে পারবেন কোথায় গিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে বিজেপিতে যোগদান করবেন এই নিয়ে জল্পনা শুরু আগেই হয়েছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটে আজ। তবে নির্দিষ্ট কোনও কেন্দ্র থেকে তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যে বাকি ২২টি আসনে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।