'কেন আমরা রেল বুক করলে পারমিশন পাই না?' রাগে অগ্নিশর্মা মমতা
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় কর্মী সমর্থকদের কলকাতায় আনার জন্য ২টি ট্রেন বুক করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও 'অপারেশনাল কনস্ট্রেইনস'-এর কারণে সেই ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না বলে তৃণমূলকে জানিয়েছে আইআরসিটিসি। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজ্যের শাসকদল। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা ব্রিগেডে একটা সভা ডেকেছি, গর্জন সভা, বাংলার গর্জন। কেন বাংলা বঞ্চিত হচ্ছে? কেন বাংলায় ১০০ দিনের টাকা দেওয়া হচ্ছে না? কেন রাস্তার টাকা দেওয়া হচ্ছে না? কেন আবাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না? কেন আমরা রেল ভাড়া চাইলে, আমরা যদি রেল বুক করি, আমাদের পারমিশন দেওয়া হয় না? কোথায় বাস করছি আমরা! মগেরমুলুক নাকি? এক এক রকম নিয়ম এক এক জনের জন্য। তাই পরিষ্কার বলে দিয়ে যাচ্ছি, আগামীদিনের লড়াই বাংলাই লড়বে, আগামীদিনের শেষ কথা বাংলাই বনলবে, আমামীদিনের গর্জন বাংলাই বলবে, চলুন সবাই ব্রিগেডে।'
এর আগে এই বিষয়ে সোমবার মুখ খোলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু। শশী জানান, এর জন্য তৃণমূল ১১ লাখ করে মোট ২২ লাখ টাকা অ্যাডভান্স করেছিল। কিন্তু গত ২ মার্চ চিঠি দিয়ে রেল জানায়, ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও রেলের অফিসারদের অনুরোধ করা হয়। বলা হয় ওই ট্রেনের যাত্রীরা শুধু তৃণমূলের লোকই নন, বঞ্চনার শিকার বহু মানুষও সেখানে থাকবেন। সেই সময় মৌখিকভাবে আশ্বাস দেওয়া হলেও শুক্রবার তা পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে শশী ও ব্রাত্য মন্তব্য করেন, 'এটা বিজেপির জমিদারি, ফিউডাল লর্ডের মতো আচরণ!'
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগে দিল্লি অভিযানের সময়েও একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই সময়েই ট্রেন বাতিলের অভিযোগ করে রাজ্যের শাসকদল। যার ফলে বাসে করে দিল্লি যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়। আর এবার সেই একই ধরনের অভিযোগ উঠল। চলতি মাসের ১০ তারিখ কলকাতার ব্রিগেডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সেই কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে কলকাতায় আনার জন্য দুটি ট্রেন বুক করেছিল রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু 'অপারেশনাল কনস্ট্রেইনস'-এর কারণে সেই ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আইআরসিটিসি।
অন্যদিকে এদিন নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং-এর পক্ষেও সওয়াল করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে তিনি বলেন, 'পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যদি ভোটে স্টেট ফান্ডিং সম্ভব হয়, তবে এদেশে নয় কেন? তাহলে মানুষের থেকে ভোটের জন্য টাকা নিতে হবে না।'