শাহজাহানকে হস্তান্তর করল না সিআইডি, ভবানী ভবন থেকে খালি হাতেই ফিরল সিবিআই
২৪ ঘন্টা | ০৬ মার্চ ২০২৪
পিয়ালি মিত্র: বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিয়ুক্ত শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালি ঘটনায় সিবিআই তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ ছিল আজ বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে শেখ শাহজাহান ও মামলার নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু আজ শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের খালি হতেই ফিরতে হল ভবনী ভবন থেকে। এনিয়ে ফের একদফা আইনি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠল।
কলকাতা হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। যদিও সর্বোচ্চ আদালত জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের আবেদন শুনতে রাজি হয়নি। ফলে হাইকোর্টের রায়ই বলবত থেকে যায়। তারই ভিত্তিতে আজ বিকেলে পাঁচটা নাগাদ শাহাজাহানকে হেফাজতে পেতে ভবানীভবনে পৌঁছে যায়। কিন্তু তাকে হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি সিআইডি। কিন্তু ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর খালি হাতেই ফিরে যান তাঁরা।সিআইডির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যেহেতু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে এবং সম্ভবত আগামিকাল বিষয়টির শুনানি হতে পারে তাই শাহজাহানকে হস্তান্তর করা হয়নি। সিবিআই দাবি করে, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় স্টে অর্ডার দেয়নি সেই হেতু সিআইডি কেন শাহজাহানকে তাদের হাতে তুলে দেবে না। এরকম পরিস্থিতিতে সিআইডি কোনওভাবেই সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহান বা কেস ডাইরি তুলে দিতে রাজি হয়নি। এনিয়ে আগামিকাল হাইকোর্টে যেতে পারে সিবিআই।এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশের পরপরই শেখ শাহজাহানের ১২ কোটি ৭৮ লাখ চাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। বাড়ি, জমি, ভেড়ি-সহ একাধিক সম্পত্তি বাজেযাপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে ইডি। গত ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। সেখানে তাদের তাড়া করে জনতা। মার খান ইডি অফিসাররা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা মনে করছে, শাহজাহানের যে সম্পত্তি তার সঙ্গে দুর্নীতির সম্পর্ক রয়েছে। রেশন দুর্নীতির টাকা তার কাছে গিয়েছে কিনা সেটাই খুঁজে দেখছে ইডি।