• Sheikh Shahjahan : শাহজাহানকে CBI-এর হাতে তুলে দেওয়ার রায়ে স্থগিতাদেশ নয় সুপ্রিম কোর্টের
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
  • সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে CBI-এর হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলা উঠতে পারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ঠিক কী নির্দেশ দেয়, এখন সব নজর সেই দিকেই। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ED -র আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার তদন্তভার CBI-এর হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, CID হেফাজতে থাকা নথিপত্র এবং শাহজাহানকে CBI-কে হস্তান্তরিত করতে হবে। সেই নির্দেশ মোতাবেক এই দিনই ভবানী ভবনে যায় CBI। কিন্তু, শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তরিত করা হয়নি CID-র তরফে। তাদের যুক্তি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।

    উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেওয়ার প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে গিয়ে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় রাজ্য। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে চায়। বিচারপতি খান্না সেই সময় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের আইনজীবীদের প্রধান বিচারপতির এজলাসে যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশ মানার পর বুধবার যাতে দ্রুত এই মামলার শুনানি হয় সেই জন্য আর্জি জানানো হয় রাজ্যের তরফে।

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। সন্দেশখালির নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ED আধিকারিকরা। কিন্তু, একাধিকবার ডাকাডাকির পরেও কেউ সাড়া না দিলে CRPF জওয়ানরা বাড়ির দরজার তালা ভাঙতে যায়। অভিযোগ, সেই সময়ই শাহজাহানের অনুগামীরা চড়াও হয়েছিলেন ED আধিকারিকদের উপরে। তিনজন আধিকারিক এতে আহত হন।

    Shahjahan 10 Days Custody: ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত শেখ শাহজাহানের

    এই ঘটনার পর রীতিমতো শোরগোল পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। পরবর্তীতে অবশ্য শেখ শাহজাহানকে নিয়ে একাধিক বক্তব্য সামনে আসে। গ্রামবাসীরা বিভিন্ন সময় একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারকে।

    এদিকে ED-র উপর হামলার অভিযোগের দিন থেকে বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তাঁদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
  • Link to this news (এই সময়)