Underwater Metro in Kolkata : এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান পাতাল পথের উদ্বোধন মোদীর, এবার গঙ্গার তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
কলকাতার মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক। বুধবার এসপ্ল্যানেড - হাওড়া ময়দান মেট্রো পথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার গঙ্গা নদীর তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো। দেশের মধ্যে পর্রথমবার এটাই কোনও মেট্রো পথ যা দলের নীচে তৈরি। এদিন শুধু মেট্রোর এই সেকশনই নয়, কবি সুভাষ - হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও তারাতলা - মাঝেররহাট সেকশনেরও উদ্বোধন করেন নমো। এই ৩ সেকশনের উদ্বোধনের ফলে, কলকাতার পাশাপাশি হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরনার মতো জেলাগুলির হাজার হাজার মানুষ উকতৃত হবেন বলেই আশা করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এদিন উদ্বোধনের পর মেট্রোর সফর করতেও দেখা য়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই সময় তাঁর পাশে বসে থাকতে দেখা যায় স্কুল পড়ুয়াদের। তাদের সঙ্গে কথাও বলেন মোদী।গঙ্গার তলা দিয়ে এই মেট্রো পথের উদ্বোধনের ফলে শুধু হাওড়া ও কলাকাতর মধ্যে যোগাযোই সুবিধাজনক হল না, এর আরও বেশকিছু সুফল ভোগ করতে পারবেন মানুষ। এক্ষেত্রে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই করিডোরটি সম্পূর্ণরূপে চালু হয়ে গেলে হাওড়া এবং শিয়ালদার মতো রাজ্যের প্রধান রেলওয়ে টার্মিনাসগুলিকে সংযুক্ত করা যাবে। পাশাপাশি এসপ্ল্যানেড স্টেশনে উত্তর - দক্ষিণ মেট্রো করিডোর এবং জোকা - এসপ্ল্যানেড করিডোরকেও সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়াও এই সেকশন মানুষের দীর্ঘদিনের যানজটে আটকে থাকার ভোগান্তিও অনেকাংশেই কমিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুর - সহ দূরবর্তী জায়গা থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁরা হাওড়া স্টেশনে নেমে মেট্রো পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
এই সেকশনে গঙ্গার নীচ দিয়ে মোট ৫২০ মিটার পথ অতিক্রম করতে করতে হবে যাত্রীদের। যাত্রাপথের একঘেয়েমি কাটাতে টানেলের দেওয়ালে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে মাছ সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীদের অবয়ব। যাতে গঙ্গার নীচে যাত্রার সময় খানিকটা অ্যাকোরিয়ামের মতো পরিবেশ তৈরি করা যায়। এছাড়া এই পথে যাত্রীরা ফোন কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারেরও সুযোগ পাবেন। তার জন্য কাজ চালাচ্ছে একটি টেলকম সংস্থা। অর্থাৎ এখন গঙ্গার নীচে যাত্রা করার সময়ও প্রয়োজনীয় ফোন কল ধরতে ও ইন্টারনেটে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মিটিয়ে নিতে পারবেন যাত্রীরা। অন্যদিকে বাকি যে দু'টি সেকশনের উদ্বেধন হয়েছে, তার ফলে বাইপাস ও মাঝেরহাট-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের প্রভূত সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।