এই সময়: একদিকে যখন ইডি-র উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, ঠিক সেদিনই তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সন্দেশখালি এবং কলকাতায় থাকা ওইসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিনই আবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ আদালতে দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে ওই চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাতে বলা হয়েছে, হাওয়ালা রুটে রেশন দুর্নীতির টাকা পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে। সেখান থেকে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে সেই টাকা। ইডি-র দাবি, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ভাবে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন শঙ্কর।
রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। এর কয়েকদিন পরে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ইসিআইআর দায়ের করে আরও একটি তদন্ত শুরু করে ইডি। তাতেও মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, জোর করে জমি হাতানো, তোলাবাজি সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে। সেই সংক্রান্ত তদন্তে নেমে তারা ১২.৭৮ কোটি টাকার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বহুতল, জমি এবং ভেড়িও। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
অন্যদিকে, এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ৮৩ পাতার দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করে ইডি দাবি করেছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় শঙ্কর আঢ্যের চারটি সংস্থা জড়িত রয়েছে। সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে দুবাইয়ে গিয়েছে। ধৃত আরেক ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বলা হয়েছে, শঙ্কর আঢ্যের হয়ে টাকা পাচারে বিশ্বজিৎ ৫ শতাংশ কমিশন পেতেন। ইতিমধ্যে প্রথম চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেছে ইডি।