Mamata Banerjee : লোকসভার আগে মাস্টারস্ট্রোক, আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এদিন সকালে তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, একটি বড় ঘোষণা করতে চলেছেন তিনি। সেই কথামতো এই ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য মাসিক ৭৫০ টাকা করে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা কর্মীরা অনেক কাজ করে, ওঁরা আমাদের গর্ব। আমাদের সব বিপদে ওঁরা পাশে থাকে। এপ্রিল মাস থেকে ওদের ৭৫০ টাকা করে বেতন বাড়ানো হচ্ছে।’ আশা কর্মী ছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্যেও ৭৫০ টাকা ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপশি, ICDS হেল্পারদের জন্যেও মাসে ৫০০ টাকা ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে চুক্তিবদ্ধ গ্রুপ সি, ডি কর্মীদের ভাতা বাড়ানো হলেও, আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি। সেই কারণে, এদিন তাঁদের ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুক তিনি জানান, বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের খেয়াল রাখা, তাঁদের হিতার্থে দিবারাত্রি কাজ করে যাওয়ার জন্য - আমি এবং আমার জনদরদি মা-মাটি-মানুষের সরকার সদা সচেষ্ট। আজ থেকে আমাদের গর্ব, সমাজের দিশা - আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পারদের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করা হল। আমি আমৃত্যু এইভাবেই আপনাদের জন্য কাজ করে যাব। আপনারা ভালো থাকলেই, আমার ভালো থাকা।
আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বাড়ানো নিয়ে রাজ্য বাজেটে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। বেতনবৃদ্ধি, নিয়মিত ভাতা দেওয়া, বকেয়া মেটানো-সহ নানা দাবিতে রাজ্য জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। যে কারণে প্রাথমিক স্তরের স্বাস্থ্য পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ার জোগাড় হয়েছিল।
শিশুদের টিকাকরণ সহ প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন জেলায়।
যদিও, গত সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকেই এই ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ওদিনের সভা থেকে জানিয়েছিলেন, আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি তাঁর মাথায় রয়েছে। সেই ব্যাপারে শীঘ্রই কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।