• Kolkata Police: ব্লুটুথ-যুক্ত 'চিতার' হানায় কাত হবে মদ্যপ চালকরা
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: শহরে মদ্যপ চালকদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কলকাতা পুলিশের হাতিয়ার এবার ব্লুটুথ ব্রেদ অ্যানালাইজার। কন্ট্যাক্টলেস এই যন্ত্রের সৌজন্যে মুখ না ছুঁইয়ে শুধু ফুঁ দিলেই চলবে। সঙ্গে-সঙ্গেই ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ফুটে উঠবে, চালক মদ্যপ কি না। স্বয়ংক্রিয় প্রিন্ট আউট মেশিনে বেরিয়ে আসবে রিপোর্টও। প্রথমধাপে শহরের প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে ৪টি করে এই নয়া যন্ত্র দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্মীদের বক্তব্য, এর সাহায্যে মদ্যপ চালকদের জরিমানা করাটা অনেক সহজ হবে। অভিযান বাড়লে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর প্রবণতাও কমবে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতে এই যন্ত্রের নাম ছিল প্যান্থার, পরে চালু হয় অ্যালকোভাইসর। নতুন যন্ত্রটি পরিচিত চিতা নামে।হঠাৎ করেই কেন এই যন্ত্র? শহরের বিভিন্ন মোড়ে ট্র্যাফিকের দায়িত্ব সামলানো পুলিশ কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, করোনার আগে যে ব্রেদ অ্যানালাইজার তাঁদের কাছে ছিল সেখানে পাইপে মুখ দিয়ে ফুঁ দিতে হতো। চালকদের একাংশ তাতে সম্মতি দিলেও অনেকেই ওই পাইপ মুখে ঢোকাতে অস্বীকার করতেন। এরপর নতুন যন্ত্র দেওয়া হয় যেখানে সামান্য দূর থেকে ফুঁ দিলেই পরীক্ষা করা যেত। আর নতুন যন্ত্র চিতার মাধ্যমে বিনা বাধাতেই মত্ত চালকদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

    নতুন এই যন্ত্রের দুটি অংশ রয়েছে। এরমধ্যে একটিতে রয়েছে আধুনিক মানের ক্যামেরা ও সেন্সর। অন্যটিতে ডিসপ্লে বোর্ড ও প্রিন্টিংয়ের ব্যবস্থা। দুটি অংশ ব্লুটুথের মাধ্যমে একে-অপরের সঙ্গে যুক্ত। দূর থেকে চালক ফুঁ দিলে তিনি মদ্যপ কিনা তা জানার পাশাপাশি ওই চালকের ছবিও উঠে যাবে ক্যামেরায়। এর ফলে চালক তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এলেও অস্বীকার করার সুযোগ পাবেন না।

    ধাপে-ধাপে এই যন্ত্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পরিসংখ্যান বলছে, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি, গিরিশ পার্ক ক্রসিং, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, গড়িয়াহাট মোড় এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলা রুজু হয় সবচেয়ে বেশি। দিনে ৫-১০টি করে এ সংক্রান্ত মামলা হয় এই রাস্তাগুলিতে। এই এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।

    এই নয়া যন্ত্রকে কাজে লাগানোর বাইরেও শহরে মদ্যপ চালকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রতি রাতে কতজন চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ডকে সেই রিপোর্ট জমা করার নির্দেশও সম্প্রতি দিয়েছে লালবাজার। শুধু পুজোর মরসুমে নয়, বছরভরই মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)