উত্তরবঙ্গের আসনগুলিতে টিকিট বিলি নিয়ে জটিলতা, চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে
এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৪
রাজ্যে ইতিমধ্যে ২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সহ আরও একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা। তার আগেও একাধিক জায়গায় স্থানীয় স্তরে প্রার্থী নিয়ে তৈরি হচ্ছে চাপা ক্ষোভ।ইতিমধ্যে, কোচবিহার জেলার প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ অনন্ত মহারাজ। তাঁর সঙ্গে প্রার্থী নিয়ে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি। তাঁকে ‘ডাস্টবিন’ করে রাখা হয়েছে বলেও দাবি। তাঁর এক অনুগামীরা ফেসবুক পোস্ট নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ জন বার্লাকে নতুন করে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। তাঁর জায়গায় টিকিট দেওয়া হয়েছে মনোজ টিগ্গাকে। তিনি জানিয়েছেন, এই জেলায় বিজেপির যখন কোনও সংগঠন ছিল না, সেখানেই তাঁর উদ্যোগেই বিজেপি এখানে শক্ত ভিত তৈরি করছে। তাঁর উদ্যোগেই এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। তারপরেও তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, অনন্ত মহারাজ ইতিমধ্যে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কালিম্পংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার সঙ্গেও তিনি একটি বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কালিম্পংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ভূমিপুত্রকে টিকিট না দিলে তিনি নিজেই নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। ফলত, লোকসভার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বিজেপিকে যথেষ্ট ঝক্কি পোয়াতে হচ্ছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
অনন্ত মহারাজের বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, ‘কেন অনন্ত মহারাজ এ ধরণের কথা বলছেন জানি না। ওঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। ভালো থাকবে।’ আরও একটি কেন্দ্রের টিকিট পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। দার্জিলিং কেন্দ্রে টিকিট পেতে আগ্রহী গতবারের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। তবে, প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রী্ংলাকে ওই কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
দলের আর এক সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী সোমবার রাতের কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে টিকিট দেওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। জেলা নেতৃত্বের একাংশ টিকিট না দেওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলার পুরনো বিজেপি নেতা-কর্মী মহল থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছে অন্তত দশজনের নাম এবং তাঁদের ‘বায়োডাটা’। সেখানেও প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে।