এই সময়, সন্দেশখালি ও নয়াদিল্লি: আজ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় আসছেন না সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। তবে নির্যাতিতা মহিলারা না এলেও, সন্দেশখালি থেকে আটশোর বেশি মহিলা বারাসতে মোদীর সভায় আসবেন বলে জানিয়েছেন বসিরহাট লোকসভার বিজেপির আহ্বায়ক বিকাশ সিংহ। সন্দেশখালির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বিকাশ কয়েকদিন আগেই জামিন পেয়েছেন।এ দিন তিনি জানান, পরে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করানোর চেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালির এক মহিলাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সন্দেশখালি থানায় বুধবার সকালে উপস্থিত হওয়ার জন্য পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশ পাঠানোয় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন মোদী। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী এক মহিলার বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় বিতর্ক বাধে।
একটি মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ওই মহিলাকে বুধবার, সকাল ১০টায় থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন গ্রামে এসে এই বিষয়ে নোটিস ধরাতেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। এ দিন বিকাশ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সভায় সন্দেশখালি থেকে ১৭টি গাড়িতে আনুমানিক ৮০০ জন পৌঁছবেন। আমরা চেষ্টা করছি সন্দেশখালির মা বোনেদের বেশি সংখ্যায় বারাসতের সভায় নিয়ে যেতে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকজন নির্যাতিতার কথা হওয়ার কথা আগে জানানো হলেও, বারাসতের সভায় সেটা হচ্ছে না। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্যাতিতাদের দেখা করার ব্যবস্থা হতে পারে।’
দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়ে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে বারবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলেও অভিযোগ।
বাংলায় আইনের শাসন নেই, এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে বিজেপি৷ কেন্দ্রের শাসক দলের এই অভিযোগের সুরে গলা মিলিয়ে এবার সোচ্চার হচ্ছে বিজেপির শাখা সংগঠনগুলিও৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগকে সামনে রেখে এ বার গোটা দেশে প্রতিবাদ দেখাবে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
মঙ্গলবারই সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের তথাকথিত নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবিভিপির সদস্যরা। শেখ শাহজাহানের মৃত্যুদণ্ডের দাবিও তোলা হয়৷ এবিভিপির বিক্ষোভের জেরে দিল্লির অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা কেজি মার্গ দিয়ে একসময়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ শেষে দিল্লি পুলিশের বিরাট বাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিয়ে যায়৷