বাড়ছে সিসিইউ ইউনিটের বেড, বদলে যাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের স্বাস্থ্য পরিষেবা
২৪ ঘন্টা | ০৬ মার্চ ২০২৪
শ্রীকান্ত ঠাকুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের ৫০টি বেডের আলাদা ব্লক চালু হতে চলেছে। আর এই পরিষেবা চালু হলে এই জেলার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা যে আমূল বদলে যাবে তা বলাই বাহুল্য।বালুরঘাট থেকে রোগীকে নিয়ে মালদা শিলিগুড়ি বা কলকাতা নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত সময় ও খরচ সাপেক্ষ। অধিকাংশ সময়ই মুমূর্ষু এই রোগীদের এত দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যাওয়ার পথে অঘটন ঘটে। আবার এরকম অভিজ্ঞতাও আছে ওই সমস্ত শহরে পৌঁছে সরকারি হাসপাতালেও সিসিইউ বেডের সুযোগ পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়েই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। যে কারণে এই ৫০ বেডের সিসিইউ চালু হয়ে গেলে জেলার মুমূর্ষু রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন জেলা সদর হাসপাতালে।
২০২৩ সালে জুন মাসে সিসিইউ ব্লকের কাজ চালু হয়েছে। নির্মাণ কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যেই এই কাজটি সম্পূর্ণ হবে। তারপর মেশিনপত্র বসে গেলেই ঝাঁচকচকে নতুন সিসিইউ ব্লকে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন জেলার মানুষ।করোনা মহামারির সময় বোঝা গিয়েছিল জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রকৃত হাল কী। বেশি সংখ্যায় রোগী হলে তাদের স্থান সংকুলান করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। বেশি সংখ্যক রোগীদের জন্য শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি ভবন ব্যবহার করে রোগী রাখার ব্যবস্থা হয়। সেখানে উন্নত চিকিৎসা পাওয়া কার্যত অসম্ভব ছিল।রোগীদের জন্য অক্সিজেন বা রোগীদের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট কতটা দরকার তা তখনই বোঝা গিয়েছিল। অবশ্য করোনা মহামারীর আগেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বারো বেডের সিসিইউ ব্যবস্থা ছিল যেটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভাষায় হাইব্রিড সিসিইউ। পরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪ করা হয়েছে।জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর যেভাবে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক বা কিডনি ফেলিওরের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তাতে মাঝে মাঝেই এই ২৪ বেড কম পড়ে যায়। আগামী দিনে এই ৫০ বেডের সিসিইউ চালু হয়ে গেলে সেই সমস্যা মিটবে। এরপরে এই জেলার মানুষকে ছুটতে হবে না মালদা, শিলিগুড়ি বা কলকাতা।