ছেলের ইতিহাস মাঠে, মায়ের লড়াই আইসিইউ-তে! ত্রাতা রাহুল-রোহিতকেই সেলাম প্রীতির!
২৪ ঘন্টা | ০৬ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজকোটে ইংল্য়ান্ডকে ৪৩৪ রানে হারিয়ে, পাঁচ ম্য়াচের চলতি টেস্ট সিরিজে ভারত ২-১ এগিয়ে গিয়েছিল। পাঁচদিনের খেলা চারদিনেই গুটিয়ে দেয় রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টিম ইন্ডিয়া। তবে এই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) চেন্নাই ফিরে যেতে হয়েছিল। যদিও তিনি আবার চতুর্থ দিনই দলের সঙ্গে যোগ দেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, পরিবারের ইমারজেন্সির কারণেই দলের তারকা ক্রিকেটারকে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। বিসিসিআই অশ্বিনের ফেরার জন্য় চার্টাড বিমানেরই ব্য়বস্থা করে দিয়েছিল। অশ্বিন রাজকোটের দ্বিতীয় দিনই টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিলেন। তারপর এসেছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। এসবের পরেই তাঁকে চেন্নাই ফিরতে হয়েছিল। অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি নারায়ণ এবার এক সর্বভারতীয় দৈনিকের কলামে লিখেছেন যে, তাঁদের পরিবারে কী ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে এসেছিল সেদিন! প্রীতি লেখেন, 'রাজকোট টেস্টের কথা। বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার পর অশ্বিন ৫০০ টেস্ট উইকেট পায়। এরপরই ফোনের পর ফোন আসতে শুরু করে। শুধুই শুভেচ্ছাবার্তা। আচমকাই শুনতে পাই আন্টির চিৎকার। তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। আমরা দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যাই। সেই সময়ে আমরা ঠিক করেছিলাম যে, অশ্বিনকে জানাব না। কারণ চেন্নাই থেকে রাজকোটের বিমান যোগাযোগ ব্য়বস্থা ভালো নয়। আমি চেতেশ্বর পূজারাকে ফোন করি। ওর পরিবারের সাহায্য়ের অবদান ভুলব না। এরপর আন্টির স্ক্যান রিপোর্ট পেয়ে আমরা অশ্বিনকে ফোন করি। ডাক্তারও আমাদের জানায় যে, এই সময়ে মায়ের পাশে ছেলের থাকা প্রয়োজন। অশ্বিন ফোন পেয়ে ভেঙে পড়েছিল। ওর বিষয়টা হজম করতে ২০-২৫ মিনিট লেগে গিয়েছিল। আমি অশ্বিনকে বলেছিলাম আমাকে একটা ফোন করতে। রোহিত (শর্মা), রাহুল (দ্রাবিড়) ভাই ও দলের বাকি সকল সদস্য়-সহ বিসিসিআইকে ধন্য়বাদ জানাতে চাই। অত রাতেও অশ্বিনকে এভাবে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য়।'প্রীতি আরও লেখেন, 'অশ্বিনের কাছে খুব আবেগি মুহূর্ত ছিল মাকে আইসিইউ-তে ওভাবে দেখা। আন্টি স্থিতিশীল হওয়ার পরেই ওকে আমরা বলি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য়। ওর যেরকম ব্য়ক্তিত্ব ও কখনই খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসার মানুষ নয়। আর ও যদি দলকে জেতাতে না পারত, তাহলে ওর মনের মধ্যে প্রচণ্ড অপরাধ বোধ কাজ করত। এই কয়েক দিনের মধ্যে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে অশ্বিনের বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটানোর ইচ্ছা আরও অনেক বেড়ে গিয়েছে। এটা বয়স এবং পরিণতি বোধের সঙ্গেই এসেছে।' অশ্বিনের মা দ্রুত সেরে ওঠেন। তিনি রাজকোটের বিমান ধরে টেস্টের চতুর্থ দিন দলের সঙ্গে যোগ দেন।