প্রসেনজিৎ মালাকার: ঋণের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বৌমার বিরূদ্ধে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এদিকে ঋণের টাকা মেটাতে চাপ দিচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে বিপাকে পড়েছেন ঋণ গ্রহীতারা। ঘটনাটি বীরভূমের নলহাটি থানার বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামের।জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে গোবিন্দপুর গ্রামের যমুনা স্বনির্ভর দলের সদস্যারা একটি বেসরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, ব্যাঙ্কের নির্ধারণ করে দেওয়া মাসিক কিস্তির টাকা নির্ধারিত সময়ে প্রতি মাসে স্বনির্ভর দলের দলনেত্রী হাজেরা খাতুন ও কোষাধ্যক্ষ জুলেখা খাতুনের কাছে তাঁরা জমা দিয়েছেন। বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্য ইয়ার মহম্মদ থানেদারের বৌমা জুলেখা খাতুন এই স্বনির্ভর দলের কোষাধ্যক্ষ। অভিযোগ, কিস্তির টাকা দলনেত্রী ও কোষাধ্যক্ষ ব্যাঙ্কে তাঁদের ঋণ অ্যাকাউন্টে জমা করেননি।এদিকে স্বনির্ভর দলের ঋণ গ্রহীতাদের এখন ঋণ পরিশোধ করতে চাপ দিচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ পরিশোধ না করার বিষয়টি জানতে পেরে স্বনির্ভর দলের দলনেত্রীর কাছে যান ঋণ গ্রহীতারা। ঋণ গ্রহীতাদের অভিযোগ, তাঁদের দেওয়া ঋণের মাসিক কিস্তির টাকা দলনেত্রীকে পরিশোধ করতে বললে দলনেত্রী ও তাঁর স্বামী সেই টাকা মেটাতে রাজি হননি। উলটে তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। এদিকে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য বার বার চাপ আসায় বিপাকে পড়েছেন স্বনির্ভর দলের ঋণ গ্রহীতা সদস্যারা।তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সুভাষ লেট জানিয়েছেন, টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্বনির্ভর দলের দলনেত্রী ও কোষাধ্যক্ষ স্বীকার করেছেন। সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা কথাও দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।