বিধায়ক পদে ইস্তফা গ্রহণ করলেন না স্পিকার, ফের ভোগান্তি 'দলত্যাগী' তাপসের!
২৪ ঘন্টা | ০৬ মার্চ ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্রে 'পদ্ধতিগত ক্রুটি'। তাপস রায়কে ফের ডেকে পাঠালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আমি বিস্তারিত নির্দেশ দিয়েছি। যে ইস্তফাপত্রটি দিয়েছেন, সেটা পদ্ধতিগতভাবে সঠিক নয়। তাপস রায় নতুন করে ইস্তফাপত্র জমা দিতে চেয়েছেন। কাল(বুধবার) ১টায় সময় দিয়েছি। আবার যদি ইস্তফাপত্র দেন, আমি পুনর্বিবেচনা করব'।
জল্পনা চলছিলই। তৃণমূলে ছেড়ে এবার বিজেপিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সৈনিক তাপস রায়! আজ, বুধবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মশিবিরে যোগ দেবেন তিনি। তাপস নিজেই জানিয়েছেন, 'আমি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে চলেছি। শুভেন্দু, সুকান্তের সঙ্গে কথা হয়েছে'। এর আগে, সোমবার তৃণমূল ছাড়েন তাপস। সেদিন ইস্তফা দেন বিধায়ক পদ থেকেও। বরানগরের বিধায়ক তিনি। এদিন তাপসকে ডেকে পাঠান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দলত্যাগী' তৃণমূল নেতা বলেন, 'একটা ফর্ম্যাট আছে তো। সেটা উনি দেবেন। কালকে আমি ১টা আসব। এসে...গৃহীত হোক বা না হোক, আমি ইস্তফা দিয়ে দিয়েছি। স্পিকার তো বিশিষ্ট আইনজীবী। আমিও নিয়ম মেনে চলা মানুষ। অনৈতিক কোনও কাজ কখনও করিনি, করবও না। তো ঠিক আছে, কোনও সমস্য়া নেই'।তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মতে, 'তাপস রায়ের দলত্যাগ দুর্ভাগ্যজনক। দলবদল আরও দুর্ভাগ্যজনক'। তিনি বলেন, 'আমাদের দাদা-ভাই সম্পর্ক। ব্রাত্য বসু ও আমি বোঝাতে গিয়েছিলাম। আমাদের মনে হয়েছিল তাপসদার যে তীব্র ক্ষোভ বা যন্ত্রণা, কিছুটা তাঁর ভুল ধারনা, অভিমান থেকে করেছেন। কিছুক্ষেত্রে অনেক আগে যদি নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করতেন, তাহলে হয়তো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হত। সেক্ষেত্রে কখনও সজল ঘোষ, কখনও তাপস রায়কে চলে যেতে হয়। পরিস্থিতিগুলি হয়তো এড়িয়ে যেতে পারতাম। যে বিজেপির বিরুদ্ধে তাপস রায় এতদিন তৃণমূলের ম়ঞ্চ থেকে লড়াই করেছেন, সেই বিজেপিতে তাপস রায় আমাদের ক্ষেত্রে বেদনাদায়ক'।