• শাহজাহানকে সিবিআইয়ে হস্তান্তর নিয়ে টানটান চিত্রনাট্য! রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টেও
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ মার্চ ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তরের নির্দেশ বহাল রাখল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রধান বিচারপতির নির্দেশ বহাল থাকছে। সেটা দ্রুত পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই শাহজাহানকে হস্তান্তরের নির্দেশ পালন করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, স্পেশাল লিভ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকলেও কোনও স্থগিতাদেশ নেই। পাশাপাশি, কালকের নির্দেশ কেন মানা হয়নি? সেটা নিয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যাদের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ তাদের। ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলে, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুলিস অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করতে পরে। যে কারণে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আপিল করা মানেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ নয়। সুপ্রিম কোর্ট এটাও বলেছে যে, স্পেশাল লিভ পিটিশন ফাইল করা মানেই এটা নয় যে আগের নির্দেশ পালন করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ না থাকলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মানে নেই।প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সিআইডি শাহজাহানকে হস্তান্তর না করায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করে ইডি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আজ শুনানি হয়। রাজ্যের তরফে অ্যডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন যে, "আমরা নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছি।" ওদিকে সিবিআই-এর তরফে সওয়াল করা হয় যে, "গতকাল নির্দেশের পর রাজ্যের অফিসারদের এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ইমেল মারফত চিঠি দিয়ে সব জানানো হয়। এদিকে থানার ওসি স্পেশাল লিভ পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলছে। তারা কি করে বলতে পারে? মানে প্রধান বিচারপতির নির্দেশের পরেও এটা বলছে?"এমনকি সিবিআই তরফে হাইকোর্টে এটাও দাবি করা হয় যে, "হেফাজতে নেওয়া আটকাতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।"  এদিকে রাজ্যের তরফে কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, "স্পেশাল লিভ পিটিশন ফাইল করার পর আজও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ফাইল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে আছে। আজ বা কাল মামলার শুনানি হতে পারে। আমাদের একটাই আবেদন কাল শুনানি রাখার জন্যে।" জানা যাচ্ছে যে, ওদিকে রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ঘরে, ১ নম্বর কোর্টে, উপস্থিত রয়েছেন। প্রধান বিচারপতি আজকের দিনের মামলা শুনে শেষ করে ওঠার পর ফের একবার তাঁর কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারেন। প্রসঙ্গত, এদিন দিনের শুরুতেই শাহজাহান মামলায় 'সুপ্রিম' ধাক্কা খায় রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের দ্রুত শুনানি আর্জি ফেরান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, মনু সিংভিকে জানিয়ে দেন যে, প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। তিনি-ই ঠিক করবেন কবে শুনানি হবে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)