আর্জি খারিজ, হস্তক্ষেপ-ই করল না, শাহজাহান মামলায় 'সুপ্রিম' ধাক্কা রাজ্যের!
২৪ ঘন্টা | ০৬ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহান মামলায় ফের রাজ্যের ধাক্কা। 'সুপ্রিম' ধাক্কা রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের দ্রুত শুনানি আর্জি ফেরালেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের ইস্যুতে এদিন আবারও দ্রুত শুনানির আর্জি ফেরাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। আজ রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে উল্লেখ করেন, সিবিআই ইতিমধ্যে আদালত অবমাননার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে। তাই দ্রুত শুনানি করা হোক।যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, মনু সিংভিকে জানিয়ে দেন যে, প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। তিনি-ই ঠিক করবেন কবে শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে ৯ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি চলছে। সেই কারণেই এদিন আবার সঞ্জীব খান্নার এজলাসে একই বিষয় উল্লেখ করে রাজ্য। ওদিকে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও শাজাহানকে হস্তান্তর করেনি সিআইডি। এই ঘটনায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। আজ বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য সময় দিলে শুনানির আশ্বাস ডিভিশন বেঞ্চের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বনগাঁ ও ন্যাজাট থানার মোট ৩টি মামলা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে শেখ শাহজাহানকেও সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই শেখ শাহজাহান সহ মামলা সংক্রান্ত সব নথি সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। তাদের উপর চড়াও হন শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধরের চোটে ইডি অফিসারের মাথাও ফাটে। সেই ঘটনার ৫৬ দিনের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর গ্রেফতারির পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। হাইকোর্ট শাহজাহান মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেও অবশ্য, কাল শাহজাহানকে হস্তান্তর করেনি সিআইডি। ভবানী ভবন থেকে মঙ্গলবার খালি হাতেই ফিরতে হয় সিবিআইকে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর পরই শেখ শাহজাহানের ১২ কোটি ৭৮ লাখ চাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বাড়ি, জমি, ভেড়ি সহ শেখ শাহজাহানের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।