• কর্মসংস্থান, জাতগণনা, এমএসপি গ্যারান্টি, সামাজিক ন্যায়ে জোর, একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নিয়ে তৈরি হচ্ছে কংগ্রেসের ইস্তাহার...
    আজকাল | ০৭ মার্চ ২০২৪
  • আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি:‌ লোকসভা নির্বাচনে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নিয়ে ময়দানে নামছে কংগ্রেস। দলের ইস্তাহার কমিটির বৈঠকে হয়েছে দু’‌দিন আগে। ওই বৈঠকে খসড়া ইস্তাহার নিয়ে আলোচনা হয়। জনগণের মন জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা থাকবে ইস্তাহারে। যেখানে কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধি, জাতগণনা, কৃষক সমস্যা দূরীকরণে জোর দেওয়া হবে। জানাগেছে, বেকার যুবদের পাশে পেতে উল্লেখ থাকবে, কংগ্রেস জোট সরকারে এলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ৩০ লক্ষ শুন্যপদ রয়েছে, সেই শুন্যপদে দ্রুত নিয়োগ হবে। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণ হবে নিখরচায়। অনগ্রসর জাতিগুলির জন্য সংরক্ষণের সীমা বৃদ্ধি, জাতভিত্তিক জনগণনা করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হবে। জোর দেওয়া হবে সামাজিক ন্যায়ে। সংখ্যালঘুদের পাশে পেতে সাচার কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট ময়দানে নামবে হাত শিবির। কংগ্রেস সূত্রে জানাগেছে, দেশের অন্নদাতা কৃষকদের পাশে পেতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকবে ইস্তাহারে। আরও ন্যূনতম আয় প্রকল্প চালু করে দরিদ্র পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা (‌‌মাসে ৬ হাজার)‌‌ আর্থিক সহায়তা করা হবে। বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে এঁটে উঠতে জনমোহিনী ঘোষণার পথেই হাঁটবে দল। জানাগেছে, ১০০ দিনের প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা করার ঘোষণা থাকবে। শিগগিরই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দলের ইস্তাহারের অনুমোদন দেবে। তারপরেই জারি হবে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে মরিয়া বিরোধী শিবির। কংগ্রেস সূত্রে জানাগেছে, বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে দেশে বেড়ে চলা বৈষম্যের বিরুদ্ধে রোহিত ভেমুলার নামে একটি আইন আনা হবে। এদিকে, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলছে মধ্য প্রদেশে। ওই রাজ্যে এক দলীয় সভায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, পিএম মোদির গ্যারান্টি তো বছরে ২ কোটি চাকরির ছিল, পূরণ হয়নি। সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ দেওয়া, কৃষকদের আয় দ্বিগুন, কৃষকদের এমএসপি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। কেননা মোদি হলেন ‘‌‌মিথ্যের সর্দার।’‌ ওই জনসভা থেকে রাহুল গান্ধী আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপি নিশানা করে বলেছেন,‘আদিবাসীরাই দেশের প্রকৃত মালিক। বিজেপি দূর্বল শ্রেণিকে অপমান করছে। কিছু দিন আগেই একটি ভিডিয়ো দেখা গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এক নেতা আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিল। এটা কি ধরণের মানসিকতা?‌ এটাই বিজেপির আদর্শ। এটা শুধু আদিবাসীদের সঙ্গেই নয়, এসসি, এসটি এবং দরিদ্রদের সঙ্গেই ঘটছে।’‌‌
  • Link to this news (আজকাল)