• বসন্তে বইমেলা কলেজ স্কোয়ারে
    আজকাল | ০৭ মার্চ ২০২৪
  • রিয়া পাত্র  বসন্তে বইমেলা এই প্রথম, তাও আবার কলেজ স্ট্রিটের বুকে। ৬ মার্চ কলেজ স্কোয়ারে উদ্বোধন হল বসন্ত উৎসব ও বইমেলার। উদ্যোগে কলকাতা পুরসভার ৪০নম্বর ওয়ার্ড, সহযোগিতায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। ১২ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা। ইতিমধ্যে বইয়ের স্টল সাজিয়ে প্রস্তুত প্রকাশন সংস্থাগুলি। বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মালা রায়, ছিলেন সাহিত্যিক অমর মিত্র, বিনতা রায় চৌধুরী, সৈকত মুখোপাধ্যায়, জয়ন্ত দে, প্রচেত গুপ্ত, হিমাদ্রি কিশোর দাশগুপ্ত, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা সুপর্ণা দত্ত।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে উঠে এল ২০১৩ সালের নববর্ষের বইমেলার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই যে কলেজে স্ট্রিটে বইমেলার ভাবনা, সেকথাও জানান তিনি। বক্তব্যে জানিয়ে দিলেন, প্রতি বছরই হবে বসন্ত উৎসব ও বইমেলা। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বললেন, যে যাই বলুন, তাঁর ব্যক্তিগত সমীক্ষা বলছে, দিনে দিনে বেড়েছে বইপড়া, বেড়েছে পাঠকের সংখ্যা। উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলার সার্থকতার পিছনে গিল্ড, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশু শেখর দের ভূমিকার কথা বলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বইমেলাকে প্রাধান্য তালিকার প্রথমে রাখেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  মালা রায় দু" ধরনের বই ক্রেতার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এক ধরনের পাঠক, যাঁরা বই পড়তে বই কিনে থাকেন বারবার, আর এক ধরনের ক্রেতা, যাঁরা অন্যকে দেখাতে বাড়িতে সাজিয়ে রাখেন বই। বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পাঠকদের মনের কথা তুলে ধরলেন যেন। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসবের সঙ্গে বইমেলার ভাবনার মতোই, বইমেলা হোক ঘনঘোর বর্ষায়, কিম্বা গ্রীষ্মে বা শরতে। বইমেলার শেষ দিনে বসন্ত উৎসবের জন্য ২৫০ জন শিশুকে রং-পিচকিরি-বই দেওয়া হবে। সামনের বছর ৫০০ শিশুকে রং পিচকিরি বই দেবেন বলে মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (আজকাল)