জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লুপ্তপ্রায় টোটো জাতির নিজস্ব বর্ণমালা বোর্ডে লিখে ৩২ তম কাটোয়া বইমেলার সূচনা করলেন পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো।
উদ্বোধনের আগে ধনীরাম টোটো একটি ছোট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মাতৃভাষা সকলের কাছেই প্রিয়। টোটোদের ক্ষেত্রেও ঘটনাটা তাই। কিন্তু টোটো জনজাতি তো লুপ্তপ্রায় জাতি। এদের ভাষার কোনও বর্ণমালা ছিল না। বড় কষ্ট হত। পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ির বল্লালগুড়ি পঞ্চায়েতের টোটো পাড়ায় মাত্র ১৬৬২ জন টোটো জনজাতির মানুষ আছেন। নানা ভাবে টোটো জনজাতির অস্তিত্ব বাঁচাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই চেষ্টারই একটা দিক তাদের মুখের ভাষাকে রক্ষা করা। সেই ভাষাকে কথ্য রূপ থেকে লেখ্য রূপে নিয়ে আসা। সেটা করতে গেলে প্রথমেই চাই হরফ। সেই জরুরি কাজটিই করেছেন ধনীরাম টোটো।ধনীরাম টোটো টোটোদের মুখের ভাষাকে লেখ্য রূপে প্রকাশ করার রাস্তা খুলে দিয়েছেন। তিনি এদের ভাষাকে হরফে পরিণত করেছেন। ধনীরামের এই অসাধ্য সাধনের কর্মকাণ্ডকে ভারত সরকার সম্মানও জানিয়েছে। তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে দেশ। প্রসঙ্গত, কাটোয়া বইমেলায় এবার ৬৩ টি বইয়ের স্টল-সহ মোট ৭৮টি স্টল হয়েছে। কাটোয়া মহকুমার স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা নিখরচায় মেলা ঘুরতে পারবে বলে মেলা কমিটির সম্পাদক চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন। কলকাতার প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও দিল্লির প্রকাশকরাও এবার কাটোয়া বইমেলায় যোগ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত কাটোয়া বইমেলা চলবে।