প্রায় ৩ ঘণ্টার টালবাহানা, শেষপর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে হাতে পেল সিবিআই
২৪ ঘন্টা | ০৭ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল ছিল সেই হস্তান্তরের তারিখ। কিন্তু রাজ্য চলে যায় সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টে কোনও পাল্টা নির্দেশ না দিলেও গতকাল ভবনী ভবন থেকে খালি হাতেই ফিরেছিল সিবিআই। আজও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে হাতে পেল সিবিআই। এবার ভবানী ভবনের সিআইডি হেফাজত থেকে শাহজাহানের ঠিকানা সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেস।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআইয়ের টিম আজ বিকেলেই পৌঁছি গিয়েছিল ভবানী ভবন। কিন্তু তার পরেও শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে শুরু হয় টালবাহানা। সিবিআই যাওয়ার পরই শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জোক ইএসআই হাসপাতালে। তারপর তাকে নিয়ে আসা হয় ভবানী ভবনে। সেখানে কিছু নথিপত্রের কাজ করার পর তাকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। বিকেল চারটে নাগাদ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সেই কাজ করতে প্রায় সাতটা বেজে যায়।গতকাল শাহজাহানের হস্তান্তর সিআইডি আটকে দিতে পারলেও আজ আর তা সম্ভব হল না। কারণ ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি ফাইল করা মানে এই নয় যে তদন্ত প্রক্রিয়া আটকে দেওয়া। আজ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিকেল চারটে পনেরোর মধ্যে শাহজাহানকে হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল আদালতের নির্দেশ কেন মানা হয়নি তা ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। গতকাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, অভিযুক্তকে আটকানো বা আশ্রয় দেওয়ার একটি চেষ্টা দেখা গিয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর না করে আক্রান্তদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা হয়েছে। এখান থেকেই রাজ্য পুলিসের ভাবমূর্তি স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই তল্লাশি করতে গিয়ে শাহজাহানকে পায়নি ইডি। উল্টে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অফিসারদের ঘিরে ধরে এলাকার মানুষজন। মারধর করা হয় তাদের। মাথা ফাটে এক ইডি অফিসারের। ভাঙচুর হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। অভিযোগ ওঠে, ইডি আধিকারিকদের উপরে চড়াও হতে সাধারণ মানুষকে উসকেছিলেন শাহজাহান। এদিকে, শাহজাহান এলাকা ছাড়ার পর সন্দেশখালির বহু মহিলা শেখ শাহজাহান ও তার সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন গ্রামের মহিলারা। এনিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে বিজেপি ও বামেরা।