পিয়ালি মিত্র: ‘বাঘে‘র চোখে জল! কাঁদলেন বলিউডের 'বাদশা' শাহজাহান? সিবিআই সূত্রে খবর তেমনই। সিবিআই সূত্রে খবর, হস্তান্তরের আগে পর্যন্ত শেখ শাহজাহান বুঝতে পারেনি যে তাঁকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সিবিআই তাঁকে নিয়ে যাবে, এটা বোঝার পরই কার্যত ভেঙে পড়ে শাহজাহান। তাঁর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে যায় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। নথি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার পরই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের অফিসারদের সামনে নিয়ে আসে সিআইডি। ওদিকে এদিন শাহজাহানকে 'নেংটি ইঁদুর'-এর সঙ্গে তুলনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় 'পুনঃ মূষিক ভবঃ' বলে একটি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে ২টি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন শুভেন্দু। প্রথম ভিডিয়োটি শাহজাহানকে গ্রেফতারির পর বসিরহাট আদালতে পেশের সময়। ধোপদুরস্ত পোশাকে রীতিমত রাজকীয় ভঙ্গিতে শাহজাহানকে হেঁটে আসতে দেখা যাচ্ছে সেই ভিডিয়োতে। সেই ভিডিয়োটির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, 'পুলিসের সঙ্গে- সন্দেশখালির বাঘ।' পরের ভিডিয়োটি সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান। চুপচাপ। গাড়ি থেকে হাত ধরে নামানো হচ্ছে শাহজাহানকে। তারপর হাত ধরেই তাঁকে নিয়ে যাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। যে ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'সিবিআই হেফজাতে- নেংটি ইঁদুর।'তিন ঘণ্টার টানাপোড়েনের পর বুধবার শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। হেফাজতে নেওয়ার পর রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে শাহজাহানকে হস্তান্তরের নির্দেশও দেওয়া হয়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টে নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ নয় বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।এরপরই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কাল বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আবার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআইয়ের টিম বিকেলেই পৌঁছ যায় ভবানী ভবন। কিন্তু তারপরেও টালবাহানা চলতে থাকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শাহজাহানকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তারপর সেখান থেকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। ফের তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভবানী ভবনে। সেখানে কিছু নথিপত্রের কাজ মিটিয়ে তারপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শাহজাহানকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।