• রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন, ৭ শহরের ৬৭ জায়গায় তল্লাশি সিবিআই-এর 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ মার্চ ২০২৪
  • দিল্লি, ৭ মার্চ  ? একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আইএমপিএস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৮২০ কোটি টাকার লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় এবার রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের সাতটি শহরের ৬৭টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। যদিও ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েকটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁদের কয়েক হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ভুল করে ওই টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০২৩-এর ১০ এবং ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সাতটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ১৪ হাজার ৬০০ অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁদের ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার অ্যাকাউন্টে ভুল করে টাকা ঢোকে  আইএমপিএস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
    ২০২৩-এর নভেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৮২০ কোটি টাকার জালিয়াতি। গত বছর, ১০ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে আইএমপিএস , অর্থাৎ, ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ইউকো ব্যাঙ্কের ৪১,০০০টিরও বেশি অ্যাকাউন্টে ৮,৫৩,০৪৯ বারেরও বেশি লেনদেন হয়েছিল। যার ফলে, ৮২০ কোটি টাকা ইউকো ব্যাঙ্কের ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু, যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল, তাদের থেকে ব্যাঙ্কে কোনও টাকা আসেনি। অর্থাৎ, এই ৮২০ কোটি টাকার পুরোটাই ইউকো ব্যাঙ্কের ঘর থেকেই গিয়েছে। এই মামলার তদন্তেই, বৃহস্পতিবার রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের সাতটি শহরের ৬৭টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই।

    উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যে অ্যাকাউন্টগুলিতে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ঢুকেছে, সেই গ্রাহকরা সময় নষ্ট না করে দ্রুত ওই টাকা তুলেও নিয়েছেন বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সিবিআই। গত বছরের ডিসেম্বরে কলকাতা এবং ম্যাঙ্গালুরুতে তল্লাশি চালিয়েছিল। এ বার রাজস্থানের যোধপুর, জয়পুর, নাগাউর, বারমের, ফালোড়ি এবং মহারাষ্ট্রের পুণেতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। কোথা থেকে কী ভাবে এই আর্থিক লেনদেন হল, এই লেনদেনের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

    সিবিআইয়ের  মুখপাত্র বলেছেন, “এদিনর অভিযানে. ইউকো ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত প্রায় ১৩০টি অপরাধমূলক নথি, সেই সঙ্গে ৪৩টি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইসগুলির মধ্যে রয়েছে ৪০টি মোবাইল ফোন, ২টি হার্ড ডিস্ক এবং ১টি ইন্টারনেট ডঙ্গেল। এই জিনিসগুলি ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। উপরন্ত, ৩০ জন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
    এদিন ছিল এই মামলার  দ্বিতীয় দফার তল্লাশি। ২০২৩-এর ডিসেম্বরে, কলকাতা এবং ম্যাঙ্গালোরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এবং ইউকো ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে জড়িত ১৩টি জায়গা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। 
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)