বাংলার ড্রেসিংরুমে ডার্বি নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যেত, স্মৃতির সরণিতে ঝুলন...
আজকাল | ০৮ মার্চ ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেশা এবং পেশা ক্রিকেট। বিশ্বমঞ্চে ৩৫৫ উইকেটের মালকিন। মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা বোলার। খেলা ছাড়ার পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর এবং বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করলে ঘটি-বাঙাল, ইলিশ-চিংড়ি যুদ্ধ থেকে কি আর নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়! পারেননি ঝুলন গোস্বামীও। বরাবরই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ছোটবেলায় ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও খেলতেন। অতীতে একাধিকবার জানান যে ক্রিকেটার না হলে ফুটবলার হতেন তিনি। দর্শক হিসেবে বেশ কয়েকবার গ্যালারিতে বসে খেলাও দেখেছেন। তাই ফুটবলের সঙ্গে একটা নাড়ির টান রয়েই গিয়েছে। ডব্লিউপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও প্রিয় দলের সব খবরাখবর রাখেন। কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও, রবিবার ইস্টবেঙ্গলের জন্য গলা ফাটাবেন ঝুলন। ডার্বি হারলেই সুপার সিক্সের সম্ভাবনা শেষ। সেক্ষেত্রে কুয়াদ্রাতের ভবিষ্যৎ নিয়েও একটা প্রশ্নচিহ্ন থাকবে। কিন্তু স্প্যানিশ কোচকে আরও সময় দেওয়ার আর্জি জানান মেয়েদের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা বোলার। ঝুলন জানান, তাঁর পুরো পরিবার ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। ৪-১ ডায়মন্ড ডার্বির স্মৃতি এখনও টাটকা। বাইচুংয়ের হ্যাটট্রিক ঝুলনের কাছে ডার্বির সেরা স্মৃতি। বাংলায় খেলাকালীন ড্রেসিংরুমের টিভিতে ডার্বি দেখতেন ঝুলনরা। ডার্বি নিয়ে অনেক তর্কাতর্কিও হয়েছে। সেই স্মৃতি ভাগ করে নিলেন। ঝুলন বলেন, "ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মধ্যে লড়াই অন্য পর্যায়ের। মাঠে না গেলে এটা বোঝা যায় না। আমরা অন্য দেশের ডার্বি নিয়ে কথা বলি। কিন্তু কলকাতা ডার্বির লেভেল আলাদা। আমার জীবনের অন্যতম সেরা ডার্বি। আমরা বাংলার ড্রেসিংরুমে একসঙ্গে ডার্বি দেখতে চাইতাম না। বাংলা দলে অনেক মোহনবাগান সমর্থক ছিল। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে দেখতে বসলেই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যেত। তাই আমরা ড্রেসিংরুমে একসঙ্গে ডার্বি দেখতে চাইতাম না। তবে সত্যি বলতে, এরকম সমর্থক আর বিশ্বের কোথাও পাওয়া যাবে না।" লিগ টেবিলের অবস্থানের কথা না ভেবে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের খোলা মনে ডার্বি উপভোগ করার পরামর্শ দিলেন ঝুলন।