রাজ্যের জেলগুলিতে মহিলা বন্দিরা গর্ভবতী কীভাবে? গুরুতর অভিযোগের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
আজ তক | ০৮ মার্চ ২০২৪
Female prisoners pregnancy: একবছরে ১৯৬ জন শিশু জন্ম নিয়েছে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। রাজ্যের জেলগুলিতে মহিলা বন্দিদের গর্ভবতী হয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এব্যাপারে পদক্ষেপ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চও। শুক্রবার ওই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জেলে মহিলা বন্দিদের ঢোকা বেরনোর পথ আলাদা করার জন্য নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
এদিন আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জ বিচারপতিকে জানান, আদালত থেকে জেলে ঢোকার সময় মহিলা বন্দিদের কমন প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকতে হয়। তাঁর অভিযোগ, তল্লাশির নামে মহিলা বন্দিদের শ্লীলতাহানি করা হয়। কারণ, কোনও মহিলা কারারক্ষী সেখানে থাকেন না। মূলত প্রভাবশালী পুরুষ জেলবন্দিরা সেই প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ করে।
এরপরই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতির নির্দেশ, জেলে মহিলা বন্দিদের ঢোকা বেরনোর পথ আলাদা করতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, আগামী ৫ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে রাজ্যের জেলগুলিতে কোথায় কত মহিলা বন্দি রয়েছেন, তার নির্দিষ্ট রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি তৈরি করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জেলগুলি পরিদর্শন করতে হবে আধিকারিকদের।
উল্লেখ্য, জেলের কয়েদিদের সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে আদালতবান্ধব নিয়োগ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কয়েদিরা ঠিক করে খাবার বা চিকিৎসা পাচ্ছেন কি না, তা দেখার দায়িত্ব আদালতবান্ধবের। কলকাতা হাইকোর্টে আদালতবান্ধব তাপস ভঞ্জের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে ১৯৬ জন শিশু জন্ম নিয়েছে। সম্প্রতি, আলিপুর মহিলা জেলেও এক জন কয়েদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সব রাজ্যের কাছে রিপোর্টও তলব করে শীর্ষ আদালত।