• ভারতীয়দের রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদান স্বীকার করে নিল বিদেশমন্ত্রক...
    আজকাল | ০৯ মার্চ ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়ায় সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ানোর ঘটনা স্বীকার করে নিল বিদেশমন্ত্রক। আজ শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রুশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে রাশিয়ার সেনা বাহিনী থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাঁরা তাঁদের নিয়োগ করেছিলেন সেই সমস্ত এজেন্টদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একাধিক শহরে তল্লাশি চালিয়ে একটি বড় মানব পাচারের গ্যাংকে পাকড়াও করা হয়েছে এবং কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক এজেন্টের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।" কোনও এজেন্টের রাশিয়ান সেনা বাহিনীতে সাহায্য়ের কাজ বা এই ধরণের কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "এই ধরণের যে কোনও প্রতিশ্রুতি ভুয়ো এবং এরফলে জীবনের ঝুঁকি ও বিপদ রয়েছে।" রুশ সেনা বাহিনীতে কর্মরত ভারতীয়দের দ্রুত মুক্তি এবং তাঁদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ভারত সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রুশ সেনা বাহিনীর পক্ষে যোগ দেওয়ায় তেলেঙ্গানা ও গুজরাটের দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সিবিআইয়ের বক্তব্য, রাশিয়ায় লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ভারতীয় নাগিরকদের রাজি করানো হয়। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। রুশ সেনা, নিরাপত্তা বাহিনী অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দেওয়া হয়। প্রথমে ভিসা এবং রাশিয়া পৌঁছানোর জন্য মোটা টাকা নেওয়া হয়। এরপর রাশিয়া পৌঁছানোর পরেই তাঁদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। প্রথমে সেই সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এই ভূমিকায় কাজ করলে তাঁদের অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপরেই তাঁদের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সমস্ত ব্যক্তিদের।সিবিআই জানিয়েছে, এই সমস্ত মানব পাচারকারী সংস্থাগুলি স্থানীয় এজেন্ট মারফৎ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়া পাঠায়। এজেন্টদের সন্ধানে দিল্লি, ত্রিবান্দ্রম, মুম্বই, আম্বালা, চণ্ডীগড়, মাদুরাই এবং চেন্নাই মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কয়েকজন সন্দেভাজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৫জন ভারতীয় নাগরিককে রুশ সেনা বাহিনীতে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লির একটি সংস্থাও সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তারা ১৮০ জন ভারতীয়কে স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে রাশিয়া পাঠিয়েছে। তবে তাঁদের রুশ সেনা বাহিনীতে ভর্তি করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (আজকাল)