মেসি নামেই মুক্তি বৃদ্ধার! হামাস অপহরণকারীও কিংবদন্তির প্রেমে
২৪ ঘন্টা | ০৯ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাতারে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শুরু হওয়ার আগে, একটা কথা বারবার সকলে বলছিলেন, লিওনেল মেসির (Lionel Messi) হাতে কাপ না উঠলে সম্ভবত 'পোয়েটিক জাস্টিস' হবে না। আর ফুটবল বিধাতা সেটাই করেছিলেন। মেসির মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। লুসেল স্টেডিয়ামে সর্বকালের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল। ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে। আর মেসি ম্য়াজিকে আবারও মোহিত হয় সারা বিশ্ব। মেসির জন্য় পাগল কোটি কোটি মানুষ। তাঁদের কাছে তিনিই 'ভগবান'! এবার এমন এক ভক্তের গল্প সামনে এল যা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। এই ভক্ত আর পাঁচজন ভক্ত নয়। সে ফিলিস্তিনি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্য়। কি পড়ে চমকে গেলেন তো? বাস্তবে এমনই ঘটেছে।এক বৃদ্ধাকে গতবছর অক্টোবর থেকে বন্দি করে রেখেছিল হামাস। তাঁর নাম এস্টার কুনিয়ো। মৃত্যু তাঁর দরজায় কড়া নেড়ে ফিরে যেতে বাধ্য় হয়েছে মেসির জন্য়ই। আর সেই গল্প বৃদ্ধাই শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি অপহরণকারীকে বলি যে, আমার সঙ্গে কথা বল না। কারণ আমি তোমার ভাষা বুঝব না। সে আরবি ভাষায় কথা বলে আর আমি ভাঙা হিব্রু! আমি আর্জেন্টাইন স্প্য়ানিশে কথা বলি। অপহরণকারী জিজ্ঞাসা করেছিল যে, আর্জেন্টিনা কোথায়? তখন আমি ওকে বলি, তুমি কি ফুটবল দেখ? ও বলে হ্য়াঁ, আমি ফুটবল পছন্দ করি। তখন আমি ওকে বলি যে, আমি মেসির দেশের মানুষ। ও শুনে চমকে যায়। বলে মেসিকে ভালোবাসে। এরপর ও আমার কাঁধে হাত রেখে ওর বন্দুক আমাকে দিয়ে শান্তির প্রতীক দেখিয়ে ছবি তোলায়। আশা করব যে, মেসি যদি দেখে তাহলে ওর জন্য় আমার দুই নাতি ডেভিড ও অ্যারিয়েল প্রাণে বেঁচে যাবে। ওরা খুবই ভালো। এখনও ডেভিড ও অ্যারিয়েলকে হামাস অপহরণ করে রেখেছে।' এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিল যে, খেলার ক্ষমতা অপরিসীম। যার না আছে ধর্ম, না আছে দেশে। না আছে শত্রু, না আছে মিত্র। সেখানে জঙ্গিই বা বাদ যায় কী করে! মেসির সারা বিশ্বের অনুরাগীরা এই ঘটনা জানার পর এটাই বলবেন, মেসি নামেই মুক্তি।