জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রকাশ্য দিবালোকে জনবহুল রাস্তার উপর শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করল জামাই। গুরুতর জখম স্ত্রী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় পাকড়াও করে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির পরেশনগরের বাসিন্দা রুপসানা খাতুন নামে ওই মহিলার। পাশাপাশি জখম হয়েছেন তার মেয়ে সাখিনা খাতুন। রুপসানা ও সাখিনার উপর আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাখিনার স্বামী মহম্মদ সাহিদকে।
সে ভানুনগরের বাসিন্দা। সে পেশায় একটি পানীয় কারখানার শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে সাখিনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাহিদের। বিয়ে পর থেকেই পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। কয়েক বছর পরই স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন সাখিনা ৷ এতে অশান্তি আরও চরমে ওঠে। এরপর শুক্রবার মেয়েকে শিলিগুড়ির কোর্টমোড়ের কাছে কাজে ছাড়তে যান রুপসানা। আর সেখানে পিছু নিয়ে পৌঁছে যায় সাহিদ। রাস্তার উপরই শুরু হয় তীব্র বাতানুবাদ।এরপরই আচমকা ব্যাগের থেকে চাকু বের করে প্রথমে শাশুড়িকে এলোপাথাড়ি কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরেন রুপসানা। মাকে বাঁচাতে গেলে সাখিনাকেও একইভাবে হামলা করে সাহিদ। হামলায় সেও গুরুতর জখম হয়। এরপরই এলাকাবাসী ও পথচলতি মানুষ তাকে আটকাতে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালাতে যায় সাহিদ। কিন্তু ট্রাফিক পুলিসের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয় পুলিস।এরপর সাখিনা ও রুপসানাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রুপসানা খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে, চিকিৎসাধীন রয়েছে সাখিনা। ঘটনার পর হাসপাতালে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় টোটো চালক সন্তু দাস বলেন, "আমি সেখানেই ছিলাম। তিনজনের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। আচমকা লোকটা চাকু বের করে দুজনকে কোপাতে শুরু করে। এরপর আমরা কোনওমতে তাকে আটকাই। দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজন মৃত বলে জানায় চিকিৎসক।"