• নিজ্জর হত্যার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করল কানাডা 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ মার্চ ২০২৪
  • অটোয়া, ৯ মার্চ ? খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা নিয়ে ভারত-কানাডা সম্পর্কে কম টানাপোড়েন হয়নি। গতবছর কানাডায় খুন হতে হয় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে। একটি গুরুদ্বারের কাছে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা সরকার। তার পর থেকেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হয়েছে। অটোয়া-নয়াদিল্লি সংঘাতের মাঝেই এবার প্রকাশ্যে এসেছে নিজ্জর হত্যা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। 
    গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ-কলম্বিয়ার সুরে শহরে একটি গুরুদ্বারের কাছে নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কে বা কারা এই হত্যায় যুক্ত তা এখনও অজানা । এই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর শুক্রবার কানাডার সিবিসি নিউজে সিসিটিভি ফুটেজের সম্প্রচার করা হয়। দাবি করা হয় খালিস্তানি নেতার খুনের ঘটনা ছিল পরিকল্পিত খুন। এজন্য অন্তত ছয়জনকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার দিন গুরুদ্বার থেকে একটি ট্রাক চালিয়ে বেরোচ্ছিলেন নিজ্জর। হঠাৎই একটি সাদা সেডান গাড়ি এসে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়।সেই সময় দুজন ব্যক্তি পিক-আপ ট্রাকটির সামনে চলে আসেন। নিজ্জর তাঁদের রাস্তা থেকে সরতে বললে অন্য আরেকটি গাড়িতে পালানোর আগে দুজন এলোপাথাড়ি গুলি চালান। অনুমান করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিরাই নিজ্জরের হত্যাকারী। 
    খালিস্তানপন্থী সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিলেন নিজ্জর। গুরপতবন্ত সিং পান্নুন পরিচালিত ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাস প্রচারের দায়েও অভিযুক্ত তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেও  জড়িত ছিলেন এই খালিস্তানি নেতা। কিন্তু ভারত ছাড়ার পরে পান্নুন তাকে কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি নিযুক্ত করে। ২০২০ সালে তাঁকে জঙ্গি তকমা দেয় ভারত। পাঞ্জাবের ফিল্লাউরে এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র-সহ, শিখ কট্টরপন্থা সম্পর্কিত কমপক্ষে চারটি এনআইএ মামলাতেও অভিযুক্ত নিজ্জর। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে গত বছরের জুলাই মাসে তার খোঁজ পেতে ১০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় ।
    নিজ্জর হত্যার পর ভারত-কানাডা সম্পর্কের ক্রমেই অবনতি হয়। ২০২৩-এর ১৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ্জর হত্যার অভিযোগ তোলেন ভারতের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। দুই দেশই একে অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। এর পর ভারত থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নেয় কানাডা। ট্রুডোকে সরকারকে পালটা বার্তা দেয় ভারতও। ভারতের অভিযোগ, কানাডা সরকারের প্রশয়েই কানাডা সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিপালন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।  
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)