যখের ধন' মাটি থেকে উঠে আসছে সোনা! চক্ষু ছানাবড়া সকলের...
২৪ ঘন্টা | ০৯ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যখের ধন, গুপ্তধন নিয়ে কল্প-কাহিনি গল্পকথার কোনও শেষ নেই। কিন্তু গল্প যখন সত্যি হয়? তখন চোখ কপালে ওঠে বইকি! চোখ আরও কপালে ওঠে যদি খোঁজ মিলে যায় এক সোনার খনির! হ্যাঁ, তা প্রায় খনিই তো! এমনই ঘটেছে পানামায়। সেখানে ১২০০ বছর পুরনো একটি কবর থেকে মিলল বিপুল পরিমাণ সোনা। কবরের ভিতরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানবদেহের অবশিষ্টাংশও উদ্ধার হয়েছে।
পানামা শহর থেকে ১১০ মাইল দূরে এল ক্যানো আর্কিওলজিক্যাল পার্কের ভিতর থেকেই এই সোনার খনির হদিস মিলেছে। কী কী রয়েছে খনির ভিতরে? সোনার চাদর থেকে সোনার বেল্ট, রয়েছে বিস্তর গয়নাগাঁটি। তিমি মাছের দাঁত দিয়ে তৈরি কানের দুলও পাওয়া গিয়েছে কবরের ভিতর থেকে! এছাড়া ব্রেসলেট, মানুষের আঙুল দিয়ে তৈরি আংটি, কুমিরের কানের দুল, ঘণ্টা, কুকুরের দাঁত দিয়ে তৈরি স্কার্ট, হাড় দিয়ে তৈরি বাঁশি ও মাটির থালাবাটি! আর সঙ্গে অনেকগুলি কঙ্কালের অংশবিশেষ। কোথা থেকে এল এত কঙ্কাল? প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুমান, কোকল যুগের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তাকে এখানে সমাধি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সঙ্গেই এই সব সোনাদানা দেওয়া হয়েছিল।তবে আরও যেটা প্রকাশ্যে আসছে, সেটা জেনে অনেকেরই রোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিশাল ওই সমাধিক্ষেত্রে আরও ৩২ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, উচ্চপদস্থ ওই কর্তার সঙ্গে এঁদেরও সে সময়ে সমাধি দেওয়া হয়েছিল। তবে, তাঁদের সমাধি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বলি দেওয়ার পরে। বলি? হ্যাঁ, বলি। মৃতের সঙ্গে মৃতের প্রিয়জনদের এভাবে বলি দিয়ে একত্রে সমাধিস্থ করার পিছনে এই বিশ্বাস ছিল যে, এঁরা সকলে যুগযুগান্ত ধরে একসঙ্গে থাকবেন! সেই সময়ে এমনই রীতি ছিল কবর দেওয়ার। বিশ্বাস, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তাঁর সঙ্গে যাঁদের বলি দেওয়া হত, তাঁরা পরজন্মে ওই ব্যক্তির সঙ্গী হবেন!পানামার সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক এই সম্পদ খুবই অমূল্য। মনে করা হচ্ছে, ৭৫০ শতাব্দীতে এই সমাধি তৈরি করা হয়েছিল। সমাজের উচ্চপদস্থ কর্তাদের জন্যই এই সমাধিটি তৈরি করা হয়েছিল।