চম্পক দত্ত: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ২ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ২ দলীয় নেতাকে সাসপেন্ড করল বিজেপি। ব্যাপক মারধরের অভিযোগে রীতিমতো তদন্ত কমিশন বসিয়ে দুই নেতাকে সাসপেন্ড করল বিজেপি। বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। অন্যায়ভাবে এই মারধর বিজেপি বরদাস্ত করবে না। এমনটাই বলা হয়েছে বিজেপির তরফে। এমনকি মারধরের ঘটনার পর হাসপাতালে তৃণমূল কর্মীদের দেখতেও যান বিজেপির নেতৃত্ব। এমন সৌজন্যমূলক সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই আলোড়ন পড়েছে নন্দীগ্রামে।দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগেই নন্দীগ্রামের দুই বিজেপি নেতাকে সাসপেন্ড করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। গত ৬ মার্চ নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহেশপুর বাজার সংলগ্ন হরি মন্দির প্রাঙ্গণে দলীয় সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে, গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল বিজেপির কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় দলের অন্দরেই তদন্ত কমিশন বসায় বিজেপি। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল, কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল ও গোপাল প্রধান নামে দুই বিজেপি নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, আগামী দিনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে যে কোনও নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেই যে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেই ইঙ্গিতও দেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির এই দুই নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।