• ইডি অফিসারদের উপর হামলার সময়ই ২৪ ফোন! শাহজাহানের জোড়া মোবাইল পেতে মরিয়া CBI...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ মার্চ ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র: কোথায় শাহজাহানের ২টি মোবাইল? খোঁজ পেতে মরিয়া সিবিআই। জেলা পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করলেও, তখন মোবাইল পাওয়া যায়নি। এদিকে তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে যে, সেদিন ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনার সময় অন্ততপক্ষে ২৪টা ফোন কল করেছিলেন শাহজাহান। যার মধ্যে ২ জন তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজন 'ঘনিষ্ঠে'র সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এখন সেদিন ঘটনার সময় ও পরে কার সঙ্গে চ্যাট বা মেসেজ কথা বলেছিলেন শাহজাহান? তা জানতে মরিয়া সিবিআই। আর তা জানতে প্রয়োজন শাহজাহানের ফোনটি। পাশাপাশি মোবাইলে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই জন্যই কি সরিয়ে ফেলা হয়েছে শাহজাহানের মোবাইল? উঠছে প্রশ্ন।প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টানাপোড়েন ও টালবাহানার পর বুধবার সন্ধ্য়ায় শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে শাহজাহানকে হস্তান্তরের নির্দেশও দেওয়া হয়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টে নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ নয় বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ফের নির্দেশ দেয়। যার পরই শাহজাহানকে হাতে পেতে আর কোনও বাধা থাকে না সিবিআই-এর।হেফাজতে নেওয়ার পর রাতভর শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ওদিকে গ্রেফারির ৮ দিন পর শুক্রবার প্রথম মুখ খোলেন শেখ শাহজাহান। ইএসআই জোকাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় নিজাম প্যালেস থেকে যখন তাঁকে বের করা হচ্ছে, তখন শেখ শাহজাহান দাবি করেন,  "সব মিথ্যে কথা। আল্লাহ আছে। সব প্রমাণ হবে। বিচার একদিন হবেই।" এর পাশাপাশি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতেও যায় সিবিআই। শেখ শাহজাহানের বাড়ি সিল করে দিয়েছিল ইডি। সেই সিল খুলেই আজ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করেন সিবিআই আধিকারিকরা। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। সেই সময় ইডির অফিসারদের উপরই শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা হামলায় চালায় বলে অভিযোগ। যে ঘটনায় আহত হন ২ ইডি অফিসার। মাথা ফাটে ইডি অফিসারদের। তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ইডি অফিসারদের সঙ্গে থাকা ব্রিফকেস লুঠও করা হয়। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর সেই হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহাজাহান। ইডির উপর সেই হামলার কথা শেখ শাহজাহান স্বীকার করেছেন বলে রিমান্ড লেটারে দাবিও করেছে পুলিস। পাশাপাশি, শাহজাহানকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে পুলিস। রিমান্ডে লেটারে উল্লেখ, ইডি অফিসারদের আটকানোর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান। শুধু কর্তব্যরত ইডি অফিসারদের আটকানো নয়, মানি-মাসল ও ম্যানপাওয়ার ব্যবহার করে ইডি অফিসারদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। তাদের জিনিস লুঠ করা হয়।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)