• খুশির হাওয়া বইয়ে দিল ঝাড়ুদার পাখি! খাঁচামুক্ত শকুন বংশবৃদ্ধি করল প্রকৃতির মাঝেই...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানুষকে গাল দিয়ে অনেক সময় 'শকুন' বলা হয়, তবে, তাতে 'ঝাড়ুদার পাখি' শকুনের গুরুত্ব বিন্দুমাত্র কমে না। বরং, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে শকুনের গুরুত্ব দিন-দিন বাড়ছে। এমনিতেই পরিবেশে শকুনের সংখ্যা কমছে। সেটা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই চেষ্টার মধ্যেই খবর এসেছে, খাঁচায় বেড়ে-ওঠা শকুন প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিম দিয়েছে! যা নিয়ে উল্লসিত বন দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।

    প্রকৃতিতে শকুনদের নতুন ঠিকানা তৈরি করে দেওয়াটা যে কোনও সময়েই খুব কঠিন কাজ। এর অন্যতম কারণ, একটি ওষুধ। ব্যথার ওষুধ। তার নাম-- ডাইক্লোফেনাক। গবাদিপশুদের দেহে ব্যথা কমানোর ওষুধ হিসেবে ডাইক্লোফেনাক প্রয়োগ করা হয়। পরে কোনও কারণে সেইসব প্রাণীর মৃত্যু ঘটলে এবং সেই প্রাণীর দেহাবশেষ কোনও শকুন খেলে, সেই শকুনের শরীরেও ঢুকে পড়ে ওই ডাইক্লোফেনাক। এর প্রভাবে কিডনি বিকল হয়। আর তার জেরে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছিল শকুনরা। এই পরিস্থিতিতে ডাইক্লোফেনাক-মুক্তএকটি বন্য পরিবেশ তৈরি করা বেশ কঠিন ছিল আর সেই কঠিন কাজটাই করা সম্ভব হয়েছে বলে এত আনন্দ। সম্প্রতি বক্সার রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলে শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া শকুন প্রকৃতির মাঝে ডিম দিয়েছে। আর তাতেই খুশির হাওয়া বক্সার ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের মধ্যে। রাজ্যের বন দফতর রাজাভাতখাওয়ায় শকুন প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করে। শুরু হয় খাঁচায় আটকে শকুনের বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়া।২০১৮-১৯ সালে এই প্রজননকেন্দ্র থেকে দফায় দফায় বেশ কিছু শকুন ছেড়ে দেওয়া হয় মুক্ত পরিবেশে। সেই খোলা পরিবেশে নিজেদের জোড় বেছে নেয় শকুনেরা। আর তারই ফলশ্রুতিস্বরূপ সেই পরিবেশেই অবশেষে ডিম দিল শকুন। খোলা পরিবেশে ডিম পেড়ে বংশবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া যে সফল তা জানা গেল শকুনের গায়ে লাগানো চিপ থেকে। এই চিপ থেকেই সমস্ত তথ্য পাচ্ছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকেরা।বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর অপূর্ব সেন বলেন, এটা একটা বড় সাফল্য। শুধু ইনক্লোজে নয়, খোলা পরিবেশেও ডিম দিচ্ছে ছেড়ে দেওয়া শকুন। এর ফলে খুব দ্রুত শকুনের বংশবৃদ্ধি ঘটবে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)