প্রদ্যুত্ দাস : জলপাইগুড়ি ঘুঘুডাঙা জনতা হিমঘরে 'বিষাক্ত' গ্যাস লিক। গ্যাস লিকেজের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নাম কুতুবউদ্দিন শেখ। আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মৃত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। ওদিকে উদ্ধারকারী দলের এক দমকল কর্মীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ আরও ২ জন শ্রমিক। অসুস্থরা জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুস্নাত রায়।আজ সকাল নাগাদ ঘটনা। হিমঘর থেকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলপাইগুড়ি থেকে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। খবর দেওয়া হয় হলদিবাড়ি দমকল কেন্দ্রেও। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় NDRF টিমকে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জলপাইগুড়ি ঘুঘুডাঙা এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। প্রাণভয়ে ছুটোছুটি করতে থাকেন তাঁরা। হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এই ঘটনা আরও একবার উসকে দেয় ভোপাল বিভীষিকার স্মৃতি।জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির ঘুঘুভাঙার ট্যাপরা মারি এলাকার ওই হিমঘরে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৬৮ কুইন্টাল আলু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। শনিবার সকালে হিমঘরের শীততাপ নিয়ন্ত্রণর যন্ত্র মেরামতের সময় পাইপ ফেটে যায়। আর তা থেকেই গ্যাস বের হতে থাকে। গ্যাসের গন্ধে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার লোকজন। গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ জন কর্মী। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিস ও দমকল কর্মীরা। অসুস্থ কর্মীদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।ডায়মন্ড হারবার থেকে জলপাইগুড়ির জনতা হিমঘরে কাজ করতে এসেছেন উরগান শেখ। তিনি বলেন, আজ সকালে আমরা হিমঘরে কাজ করছিলাম। সেই সময় আচমকা-ই গ্যাস লিক হয়। দুজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা ভয়ে পালিয়ে আসি। এখন দুজনের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।