আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতের পর শিলিগুড়ির কাওয়াখালির ময়দান থেকে ফের একবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তাঁর ভাষণে উঠে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়বাসীকে তৃণমূল সরকার গুরুত্ব দেয়নি। সেই সময় তাঁরা জমি জবরদখলে ব্যস্ত ছিল। উত্তরবঙ্গের সব বুথে পদ্ম ফোটাতেই হবে। উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্প থেকে বাংলার ১৪ লক্ষ মহিলাকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল সরকার।’ এদিন ফের একবার রেশন দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রেশন দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জেলে রয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল,কংগ্রেস, বামেদের জোট ফ্রি রেশনের বিরোধীতা করছে। রাজ্যের ১০০ দিনের বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড বানিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্র যে ১০০ দিনের টাকা পাঠায়, সেই টাকা তোলাবাজদের পকেটে পাঠায় তৃণমূল।’এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে গরিব, আদিবাসী, দলিত মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতার অত্যাচার গোটা দেশ জানে। এখানে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করে না তৃণমূল সরকার।’নোয়াখালির সভামঞ্চ থেকে এদিন ফের একবার পরিবারতন্ত্রকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের ভাইপোর চিন্তা, কংগ্রেসের চিন্তা ছেলেমেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর বামেদের চিন্তা এই দুজনের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখা। ইন্ডিয়া জোট এই কাজই করছে।’এদিন প্রধানন্ত্রীর সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।