• র‍্যাম্পে হেঁটে জনতার মাঝে পৌঁছে যাবেন মমতা
    আজকাল | ১০ মার্চ ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য : মাঝে মাত্র ১৫টা ধাপ‌। তারপরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে র‍্যাম্প। যেখান দিয়ে হেঁটে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে জনতার মাঝে। স্টেজ থেকে র‍্যাম্পে পৌঁছুতে এই ধাপগুলি কি নিছকই এক একটি সিঁড়ি? না মমতা ব্যানার্জির নেওয়া কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী-সহ এক একটি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প? রবিবার ১০ মার্চের জনগর্জন সভায় এই প্রকল্পগুলিই কি হাতিয়ার করবেন মুখ্যমন্ত্রী? তুলে ধরতে চাইবেন কেন্দ্রের বিমাতাসুলভ আচরণের পরেও কীভাবে তিনি এই প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছেন? নাকি এগুলো ছুঁয়ে তিনি ঢুকে পড়বেন সন্দেশখালির প্রসঙ্গে? যেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে বারবার বিরোধীরা তাঁকে এবং তাঁর সরকারকে "চাঁদমারি" বানিয়েছে। সন্দেহ নেই এতদিন পর্যন্ত ব্রিগেডে যেকটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছে তার থেকে বাহ্যিক রূপে এই ব্রিগেড অবশ্যই আলাদা। কারণ, র‍্যাম্প। জনতার মাঝে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যেতে যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা ইতিপূর্বে ব্রিগেডের ইতিহাসে কেউ দেখেনি। উন্নয়নের খতিয়ান ছাড়া রবিবারের "জনগর্জন"-এর ব্রিগেডে কর্মীদের আর কী "টোটকা" দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? কারণ, একদিকে যদি থাকে রাজ্যের ইস্যু, অপরদিকে অবশ্যই আছে জাতীয় ইস্যু। কারণ, আইএনডিআইএ বা "ইন্ডিয়া" জোট নামে দেশে বিরোধীদের যে জোট তৈরি হয়েছে সেখানে দল হিসেবে কাগজে কলমে তৃণমূল থাকলেও বাস্তবে কিন্তু এরাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে এখনও কোনও আসন সমঝোতা করতে পারেনি জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক কংগ্রেস। সিপিএমের সঙ্গে যে তৃণমূল যাবে না তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। আর এই আসন ভাগাভাগি নিয়ে মমতা কী বার্তা দেন তার দিকে নজর থাকবে কিন্তু সকলেরই। আরও একটি যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে তা হল শাসকদলের স্বজন পোষণ ও দুর্নীতি‌। যদিও এর আগেই সভা সমিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে সরব হয়েছেন। রাজ্যে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ হল "মহিলা" ভোট। বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রের "লাখপতি দিদি" প্রকল্পের উদাহরণের সঙ্গে তুলে ধরেছেন তাঁর সরকারের নেওয়া মহিলাদের উন্নতির জন্য একের পর এক প্রকল্প।‌ সেইসঙ্গে শক্তিপীঠ হিসেবে খ্যাত এই বাংলার সন্দেশখালির উদাহরণ দিয়ে অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার করে খুব পাপ করেছে। গোটা বিষয়টির অর্থ একটাই তৃণমূলের মহিলা ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চায় বিজেপি। ফলে মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে মোদির "বান" সামাল দেন তার দিকে নজর থাকবে সকলেরই। রবিবাসরীয় জনগর্জন-এর এই ব্রিগেড কী বার্তা দেয়, সেখান থেকে ফিরে কোন কোন ইস্যু হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা, সেটাই এখন দেখার।
  • Link to this news (আজকাল)